খুলনার কয়রা উপজেলায় ২০০৯ সালে জনসংখ্যা ছিল এক লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৬ জন। ২০২১ সালে উপজেলার জনসংখ্যা এক লাখ ৯৫ হাজার ২৯২ জন। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এ হিসাবে গত ১২ বছরে উপজেলার জনসংখ্যা বেড়েছে দুই হাজার ৩৬৪ জন।
অথচ বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ। সে অনুসারে উপজেলায় ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা হওয়ার কথা প্রায় দুই লাখ ২৮ হাজার। কিন্তু হিসাবে ৩৩ হাজার জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মনোজ মন্ডল বলেন, ‘প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ উপকূল ছেড়ে চলে যায়। এ হিসাবে কয়রায় ১২ বছরে ৩৩ হাজার জনসংখ্যা কমেছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুদীপ বালা বলেন, ‘কয়রায় জন্মহার এক দশমিক আট শতাংশ। ২০২০ সালে চার হাজার ১৫৬টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। প্রতি বছর জন্মের গতি এরকমই থাকছে। কিন্তু কয়রার সামগ্রিক জনসংখ্যা দেখে হিসাব মেলে না। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কয়রা থেকে অনেক লোক স্থানান্তরিত হওয়ায় সামগ্রিক জনসংখ্যা কমতে পারে।’
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবি নুর ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ও নদী ভাঙনের কারণে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন থেকে প্রায় তিন হাজার মানুষ অন্য জায়গায় চলে গেছে। জনসংখ্যা কমার এটি বড় কারণ।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানায় জীবনমান উন্নয়নের জন্য অনেকেই আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন শহরে চলে গেছেন। এজন্য জনসংখ্যা কমেছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাঁধ ভেঙে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই স্থানান্তরিত হচ্ছেন। ফলে দিন দিন জনসংখ্যা কমছে।’