জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আফগানিস্তানে চলতি বছরের প্রথম ছয়মাসে রেকর্ড সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এ বছরে ১ হাজার ৬০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যা ২০০৯ সালের পর হতাহতের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
গত মে থেকে মার্কিন ও ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের কার্যক্রম জোরেশোরে চলছে। ফলে দেশটিতে তালবানের উত্থান চোখে পড়ার মতো। তালেবানের সহিংস অগ্রযাত্রা থামাতে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরে তালেবানের হামলায় হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
সোমবার জাতিসংঘের অ্যাসিসট্যান্স মিশন টু আফগানিস্তান (ইউএনএএমএ) রিপোর্টে বলেছে, তারা জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে বেসামরিক ৫১৮৩ জন হতাহতের রেকর্ড ডকুমেন্ট আকারে ধারণ করেছে। এর মধ্যে ১৬৫৯ জন নিহত হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় একই সময়ে এই মৃত্যু শতকরা ৪৭ ভাগ বেশি।
জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, রক্তপাত বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে এসেছে, হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সরকারবিরোধী দলগুলোই দায়ী। তাদের হামলায় ৬৪ শতাংশ মানুষ নিহত হয়েছেন। আর সরকার সমর্থক বাহিনী দায়ী ২৫ শতাংশ। ১১ শতাংশ মানুষ ক্রসফায়ারে প্রাণ হারান। প্রথম ছয়মাসে হতাহতের মধ্যে ৩২ শতাংশ শিশু ছিল।
আগামী ১১ আগস্টের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কার্যক্রম অব্যাহত। ইতোমধ্যে ৯৫ ভাগ সেনা চলে গেছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় তালেবান গোষ্ঠী তাদের আধিপত্য বিস্তার করে চলছে আফগানিস্তাজুড়ে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রায় সময় সংঘর্ষ সৃষ্টি হচ্ছে।