তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচি’র সরকারকে বরখাস্তের পর রাজধানী তিউনিস ছাপিয়ে দেশজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের অব্যবস্থাপনার জেরে সহিংস বিক্ষোভের পর তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন। আগামী ৩০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন পার্লামেন্ট। প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপকে বিরোধীরা ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
কাত্তারভিত্তিক সংবামাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিচাম মেচিচি’র সরকারের ইন্নাহদা পার্টি এবং প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানী তিউনিসের পার্লামেন্টের প্রাঙ্গনে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। বহু মানুষকে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর হয়। তাদের উপর লাঠিচার্জ করে। অনেকের মাথা ফেটে যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও মোতায়েন করা হয়েছে সেনা সদস্যদের। ভারী অস্ত্র নিয়ে মোড়ে মোড়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে তাদের। এর আগে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করলে স্পিকার রাচেদ ঘানাউচিকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি সেনা সদস্যরা। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
শুধু পার্লামেন্ট ভবনের বাইরেই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি সামনে আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার পর দেশটির আল-জাজিরার কার্যালয়ে সশস্ত্র অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা সদস্যরা। সোমবার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজধানী তিউনিসে অবস্থিত আল-জাজিরার কার্যালয়ে ২০ জন নিরাপত্তা সদস্য ভারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। তারা বিনা নোটিশে অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযাগ আল-জাজিরার কর্তৃপক্ষের।