লকডাউন তুলে নেওয়ার পর থেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ। সরকারি ছুটির দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে বেশিরভাগই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি, পরছেন না মাস্ক।
শনিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর সংসদ ভবন, চন্দ্রিমা উদ্যান, হাতিরঝিলে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তবে এখনও খুলেনি জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্যান, সিনেমাহলগুলো।
খিলক্ষেত এলাকা থেকে তিন ছেলেকে নিয়ে সংসদ ভবন এলাকায় বেড়াতে এসেছেন মাজহার উদ্দিন ও তার স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকদিন বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও যাওয়া হয়নি। তাদের আবদার মেটাতে এখানে আসা। আসতে পেরে তারাও বেজায় খুশি।’
মাজহার উদ্দিন বলেন, ‘অনেকেই দেখলাম মাস্ক পরছেন না, এটা আতঙ্কের। এ বিষয়ে অবহেলা ঠিক না।’
বন্ধ থাকলেও মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানাও গিয়েছেন অনেকে। তবে হতাশ হয়ে তাদের ফিরে আসতে হয়েছে। মিরপুর ১২ নম্বর থেকে মামার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছে সাজিদ আর মনি। তবে তাদের মন খারাপ চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে না পেরে।
তাদের মামা রাশেদ মিয়া বলেন, আমরা জানতাম না চিড়িয়াখানা এখনও খুলেনি। তাই ফিরে যেতে হচ্ছে।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা কবির হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন হাতিরঝিলে। বলেন, ‘অনেক দিন ঘরবন্দি। বেড়ানোর জন্য কোথাও যাওয়া যায়নি। এজন্যই বের হওয়া।’
মিরপুর থেকে এসেছেন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঘরে থাকতে থাকতে বাচ্চারা হাঁপিয়ে ওঠেছে। তারা আর কোনও কিছুই মানতে চায় না। লকডাউন তুলে নেওয়ার পর থেকেই বাইরে আসার জন্য অস্থির হয়ে ছিল।’
এছাড়া হাতিরঝিলের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়েছে মানুষ। সেখানের ফুডকোর্টগুলোতেও জমে উঠেছে মানুষের আড্ডা। কেউ কেউ প্যাডেল নৌকায় চরছেন পরিবার নিয়ে।
স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে এসেছেন মিয়া হোসেন। তিনি বলেন, ‘এমনিতেই কাজের চাপে ঘোরা হয় না, তারউপর লকডাউনে সব বন্ধ ছিল। তাই আজ বের হলাম পরিবার নিয়ে।’