X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাল আমদানিতে রেকর্ড

গোলাম মওলা
২২ আগস্ট ২০২১, ২২:০২আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২১, ২২:০২

বিগত যে কোনও সময়ের চেয়ে দেশের প্রধান খাদ্যপণ্য চাল আমদানি বেড়েছে। শুধু তাই নয়, গত এক বছরে চাল আমদানির এলসি খোলার হার বেড়েছে ৩ হাজার ৩৫৬ শতাংশ। যা যেকোনও সময়ের চেয়ে রেকর্ড। আর এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে বেড়েছে ৪৯৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এদিকে চাল আমদানি বাড়লেও বাজারে কোনও  প্রভাব নেই দামে। সরকারি তথ্যই বলছে, দেশে মোটা চালের কেজিই এখন ৪৮ টাকার ওপরে। সরু চাল কিনতে গুনতে হচ্ছে ৬৮ টাকার মতো।

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক বছরে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে সরু চালের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ বেশি। বাজারে চালের দাম বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি। আর মোটা চালের দাম বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশের কাছাকাছি।

বাজারের তথ্য বলছে, গরিবের মোটা চালের দাম এখন ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি। আর চিকন চালের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, চাল আমদানি বাড়লেও অর্থনীতিতে এর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কারণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক স্থানে আছে। একটি পণ্য আমদানি করতে ডলার বেশি খরচ হলেও খুব বেশি সমস্যা নেই। কারণ, এখন পর্যন্ত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি সেই অর্থে শুরু হচ্ছে না বা হয়নি। তবে আমদানি যেভাবে বেড়েছে তাতে চালের দাম কমে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি। করোনা কালে সরবরাহ জনিত সমস্যার কারণে চালের দাম বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি উভয় পর্যায়ে দেদার চাল আমদানি হচ্ছে। আর এর ফলে সরকারি গুদামগুলোতে চালের মজুত বেড়ে ১৩ লাখ টন ছাড়িয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ১৯ আগস্ট পর্যন্ত খাদ্যশস্যের মজুদ ১৬.৮৩ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চালের মজুদ ১৩.০৪ লাখ মে টন। গমের মজুদ ১.৯৭ লাখ মেট্রিক টন। ধান মজুদ রয়েছে ১.২৫ লাখ মেট্রিক টন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই- জুন) চাল আমদানির জন্য ৮৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) একই সময়ে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে  ৩৩৫৬.৮৯ %। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জুন সময়ে মাত্র ২ লাখ ৫৩ হাজার ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত অর্থবছরে চাল আমদানির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৪ কোটি ২ লাখ ডলারের; অর্থাৎ গত এক বছরে এলসি নিষ্পত্তির হার বেড়েছে  ৪৯৪ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৭২ হাজার ডলারের।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য সবমিলিয়ে ৬ হাজার ৭০৩ কোটি ৪২ লাখ (৬৭.০৩ বিলিয়ন) ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।

অবশ্য চালের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে গত বছরের শেষের দিকে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। একইসঙ্গে সরকারি উদ্যোগেও চাল আমদানি অব্যাহত রাখা হয়। কিন্তু প্রথম দিকে ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। সরকারের পক্ষ থেকে বার বার তাগাদা দেওয়ার পর মার্চ থেকে তারা চাল আমদানির গতি বাড়িয়ে দেয়। এখনও সেটা অব্যাহত আছে। ২০২১ সালের শুরু থেকেই চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি গুদামে মজুত এবং বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। 

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা না বলতে আদালতের নির্দেশ
ইমরান খান ও বুশরা বিবিরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা না বলতে আদালতের নির্দেশ
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী