X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মার্কিন অস্ত্র আর তালেবানি আদর্শ: কতটুকু ঝুঁকিতে বাংলাদেশ?

শেখ শাহরিয়ার জামান
২৪ আগস্ট ২০২১, ১১:০০আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২১, ১৯:১৩

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহায়তায় আফগানিস্তানের তিন লাখ সামরিক বাহিনীর সদস্যকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দেওয়া হয়। ওই সেনাবাহিনী এখন ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে গেছে। তাদের ব্যবহৃত মার্কিন অস্ত্র এখন তালেবানদের দখলে। এই অস্ত্রের ভবিষ্যৎ কী এবং তালেবানরা এই অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে কী করবে, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এই অস্ত্রের কারণে ভবিষ্যতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির বড় ধরনের আশঙ্কা আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী প্রচুর মার্কিন অস্ত্র ফেলে গেছে। তালেবানদের কাছে আগে থেকেই অস্ত্র ছিল এবং এখন এই অত্যাধুনিক মার্কিন অস্ত্রগুলো তারা নতুন করে পেয়েছে। অস্ত্র বিক্রি করা আফগানিস্তানের একটি পুরনো প্রথা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মার্কিন অস্ত্রের শেষ ঠিকানা কোথায় হবে।’

এই অস্ত্র দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার বড় ধরনের আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘সন্ত্রাসী, মাদক চোরাচালান, মানব পাচারকারী থেকে শুরু করে অন্য অপরাধীরা এই অস্ত্র সস্তায় কেনার চেষ্টা করবে যা গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এই অস্ত্রের ধাক্কা হয়তো আমাদের উপরেও কিছুটা চলে আসতে পারে যা আমাদের জন্য সেটা হবে বড় ঝুঁকি।’

বাংলাদেশের ঝুঁকি

বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে তালেবানদের ধারণা বা আদর্শকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করা অপচেষ্টা হতে পারে।

শহীদুল হক বলেন, ‘এটি নতুন নয়। এর আগেও ভিন্ন চিন্তার ও ভাবধারার ব্যক্তিরা তালেবানদের ধ্যান-ধারনাকে বাংলাদেশে আমদানি করার চেষ্টা করেছে। এ বিষয়ে আমাদের সাবধানে থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যারা হেরে গেছে তারা যেন বাংলাদেশে এসে হাজির না হয়। আফগানিস্তানের যে তিন লাখ সৈন্যর কথা বলা, তাদের একটি বড় অংশ দেশ ত্যাগ করবে বলে মনে হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তারা যাবে কোথায়?’

যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে আফগানিস্তান দখলের পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে এমভি মক্কা নামক একটি জাহাজে করে ১৫০ জন তালেবান ও আল কায়েদা আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছিল বলে অভিযোগ আছে বলে তিনি জানান।

সার্কের ভবিষ্যৎ

দক্ষিণ এশিয়ায় আটজাতি জোট সার্কের অন্যতম সদস্য আফগানিস্তান। বর্তমান ডামাডোলে এর কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন শহীদুল হক।

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানকে নিয়ে সার্কের অবস্থা আরও খারাপ হবে। আগে ভারত ও পাকিস্তান দ্বন্দ্ব হতো, কিন্তু এখন সেটা ত্রিপক্ষীয় হয়ে যাবে।’

ব্র্যাক কার্যক্রম

আফগানিস্তানে অনেক বড় কার্যক্রম ছিল ব্র্যাকের এবং সেখানে তাদের কয়েকশত কর্মী কাজ করতো ।

শহীদুল হক বলেন, ‘ব্র্যাকের আবার সেখানে ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ ব্র্যাক সেখানে বিদেশি দাতাদের অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালনা করে থাকে।’

বর্তমান প্রেক্ষাপটে অর্থাৎ তালেবানদের সময়ে দাতারা আফগানিস্তানে অর্থ খরচ করবে কিনা সেটি একটি বিষয় এবং দ্বিতীয়ত সেখানে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ব্র্যাকের পক্ষে যাওয়াটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে তিনি জানান।

/এমকে/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ মে, ২০২৪)
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে লরি চাপায় মৃত্যু বেড়ে তিন
চট্টগ্রামে লরি চাপায় মৃত্যু বেড়ে তিন
রাজধানীতে রিকশাচালকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে রিকশাচালকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক