X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
পর্ব—দুই

সাহিত্যতত্ত্ব : একটি সংক্ষিপ্ত পরিক্রমা

মুহম্মদ মুহসিন
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:০২আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:০২

পূর্বপ্রকাশের পর

প্লেটোর সাহিত্যতত্ত্ব 
ইউরোপিয় তত্ত্ব ও দর্শনে প্লেটোর (খ্রি. পূ, ৪২৭ অব্দ-খ্রি.পূ. ৩৪৭ অব্দ) সাথে আর কারো অবদান তুলনীয় নয়। বিংশ শতকের দার্শনিক এ এন হোয়াইটহেড গুরুত্বের সাথে বলেছেন যে, প্লেটোর পরে ইউরোপের এ যাবৎকালে অর্জিত সবটুকু তত্ত্ব ও দর্শনই মূলত প্লেটোর দর্শনের সাথে জুড়ে দেওয়া কিছু ফুটনোট। ফলত, অন্যসব আলোচনার মতো সাহিত্যতত্ত্বের আলোচনাও তাই শুরু হওয়া উচিত এ সম্পর্কে প্লেটো কী বলেছেন তার সূত্র ধরে। 
          সাহিত্য বিষয়ে প্লেটোর মতামত আলোচনায় স্বাভাবিকভাবে প্রথমে বলেই নিতে হয় যে, কবিদেরকে তিনি ভালো চোখে দেখেননি। তিনি যে আদর্শ রাষ্ট্রের প্রেসক্রিপশন দিয়েছিলেন সেখানে তিনি কবিদের কোনো জায়গা রাখেননি। প্লেটোর সময়কালে তাঁর চারপাশে জয়গান ছিল হোমার, পিন্ডার, ইস্কিলাস প্রমুখ বিশ্ববরেণ্য কবিদের। অথচ তাঁদেরকেই কিনা তিনি নির্বাসিত করে দিলেন তাঁর আদর্শ নগররাষ্ট্র থেকে। কেন তাঁর এই ভাবনা? এ বিষয়ে বলার আগে আমরা সামান্য জেনে নেই প্লেটো ব্যক্তিটি সম্পর্কে।
প্লেটোর জন্ম হয়েছিল গ্রিসের এথেন্স শহরে খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতকের মাঝামাঝি। এখানেই তাঁর জ্ঞান আহরণ শুরু হয় সক্রেটিসের শিষ্যত্বে। ৩৯৯ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সক্রেটিসকে হত্যার পরে প্লেটো দক্ষিণ ইটালিতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি আবার এথেন্সে ফিরে এসে শুরু করেছিলেন তাঁর বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘একাডেমিয়া’। তাঁর জীবদ্দশায় ২য় পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধ এথেন্সে ব্যাপক ওলটপালট ঘটিয়ে দিয়েছিল। যুদ্ধপূর্ব এথেন্সের গৌরবকাল ও যুদ্ধপরবর্তী দুর্দশার কাল দুটোই তিনি দেখেছেন। এই যুদ্ধে তাঁর কিছু আত্মীয় স্পার্টার পক্ষে থেকে রাজাকারের ভূমিকাও পালন করেছিল। যুদ্ধে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি হলো তা হলো ষষ্ঠ খৃষ্টপূর্ব শতাব্দীতে সোলোনের হাতে যে গণতন্ত্র এথেন্সে জন্ম লাভ করেছিল তা যুদ্ধের মধ্যদিয়ে ভেঙে গেল। এই ভাঙনের মধ্য থেকে প্লেটো স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর আদর্শ নগররাষ্ট্রের। তাঁর গ্রন্থ ‘দি রিপাবলিক’ সেই স্বপ্নের বয়ান। স্বাভাবিকভাবেই সে বয়ান সাহিত্যকে ঘিরে নয়, বরং রাষ্ট্র ও সরকারকে ঘিরে। তবে তার মধ্যেই প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে কবি ও সাহিত্যের বিষয়। তার মধ্যদিয়েই বলা হয়ে গেছে সাহিত্য বিষয়ে তাঁর ভাবনা যা আজ আমাদের কাছে সাহিত্যতত্ত্বের বীজ রূপে প্রতিষ্ঠিত।
          এখানে মনে রাখতে হবে প্লেটো সাহিত্য নিয়ে যা বলেছেন তা তাঁর নগররাষ্ট্রকেন্দ্রিক ভাবনার অংশ। তাকে স্বতন্ত্রভাবে শুধু সাহিত্যের ভাবনা মনে করলে ভুল হবে। এ দিকে তাকিয়ে বলা যাবে বর্তমানে সাহিত্যকে যে ইন্টারডিসিপ্লিনারি সংশ্লেষে বিচার করা হয় তার আদিসূত্রও প্লেটোতে নিহিত ছিল। উল্লেখ্য যে, ‘দি রিপাবলিক’ গ্রন্থটি তৎকালীন গ্রিসের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যরীতি অর্থাৎ নাট্যরীতিতে লিখিত। গ্রন্থের ‘অ্যাপোলজি’ অংশ বাদে পুরোটাই হলো দার্শনিক সক্রেটিসের সাথে ডায়লগ বা কথোপকথন। আমরা এই কথোপকথনে যা শুনি তা শুনি সক্রেটিসের মুখ থেকে কিন্তু ধরে নেই এগুলো বলেছেন প্লেটো কারণ এই ডায়লগের লেখক প্লেটো, সক্রেটিস নন। সেভাবে সক্রেটিসের মুখ থেকেই আমরা শুনি যে সাহিত্য (তাঁর শব্দে কবিতা) হলো শব্দের মাধ্যমে অনুকরণ বা প্রতিকৃতি রচনার এক রীতি। অনুকরণ মানে আসল রূপের এক নকল তৈরি। অনুকরণকে গ্রিক ভাষায় বলা হয় মাইমেসিস। এই মাইমেসিসের বৈশিষ্ট্য সাহিত্যের আবশ্যিক বৈশিষ্ট্য, আবার একই সাথে সাহিত্যের সবচেয়ে নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য। কারণ, নকল কোনো ভালো কাজ নয়। একারণেই যে সাহিত্যকে আদর্শিক নগররাষ্ট্র থেকে তিনি নির্বাসন দিয়েছেন সেটি হলো সেই সাহিত্য যাতে নকল করা হয় ‘মানুষের ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত কার্যাবলি, যে সকল কার্যের ভালো বা মন্দ একটি ফলাফল থাকে এবং সে ফলাফল অনুযায়ী মানুষের মাঝে আনন্দ বা দুঃখ সৃষ্টি হয়’ (‘the actions of men, voluntary or involuntary, on which, . . . a good or bad result has ensued, and they rejoice or sorrow accordingly’)। এই নকলের সূত্রেই তিনি আরো বলেন যে, এই নকলকারী কবি বা সাহিত্যিক পাঠককে নীতিভ্রষ্ট করে তোলেন (implants an evil constitution), এবং তিনি একই বস্তুকে কখনো দেখান বড় করে আবার কখনো দেখান ছোট করে, ফলে সত্য থেকে তিনি খালি দূরেই সরতে থাকেন।
          সাহিত্য কর্তৃক সাধিত ক্ষতি সম্পর্কে সক্রেটিসের তথা প্লেটোর এই দুই অপবাদের বিষয় একটু বিস্তৃত করা যাক। প্রথমত, সাহিত্য মানুষকে নীতিভ্রষ্ট করে। কোন ধরনের সাহিত্য মানুষকে নীতিভ্রষ্ট করে? এ সম্পর্কে ‘দি রিপাবলিক’-এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধ্যায়ে তিনি বলেছেন যে খল চরিত্র ও মানুষের গর্হিত কাজের অনুকরণ বা বর্ণনার মাধ্যমে সাহিত্য মানুষকে নীতিভ্রষ্ট করে। সাহিত্যের মাধ্যমে এই কাহিনিগুলো কিশোর সমাজে পরিবেশিত হলে তাদের মানসগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আদর্শ রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা তাদের অর্জিত হবে না। এমনটাই সক্রেটিসের বা প্লেটোর মত। উদাহরণ হিসেবে তিনি হেসিওডের সাহিত্যে বর্ণিত গ্রিক দেবতা ইউরেনাস ও তার পুত্র ক্রোনাসের মধ্যকার বিবাদের গল্পের কথাও বলেছেন। সক্রেটিসের মতে এরা দেবতা হলেও তাদের এই বিবাদের গল্প তরুণ মনে নীতিভ্রষ্টতার দিকে চালিত করবে। সুতরাং সাহিত্যের মাধ্যমে এমন গল্পের বয়ান নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। এই অপবাদ দিয়ে সক্রেটিস যে সাহিত্যকে পরিত্যাজ্য বলেছেন সেটি সাহিত্যের সমগ্র রূপ নয়, সাহিত্যের একটি অংশ মাত্র। তবে সাহিত্য বিষয়ে প্লেটো বা সক্রেটিসের দ্বিতীয় অপবাদটি সাহিত্যের একটি অংশ মাত্র নিয়ে নয়, বরং সেটি সাহিত্যের সমগ্রকে নিয়ে।  
          সাহিত্য বিষয়ে প্লেটোর দ্বিতীয় অপবাদটি হলো সাহিত্য বস্তু বা ঘটনাকে সত্য থেকে দূরে সরিয়ে নেয় অর্থাৎ মিথ্যাকে লালন করে, তাই ইহা পরিত্যাজ্য। এই অপবাদের অধীনে প্লেটো ভালো কাজের এবং মন্দ কাজের উভয়ের অনুকরণকেই পরিত্যাজ্য হিসেব প্রদর্শন করেছেন। সাহিত্য কীভাবে বস্তু বা ঘটনাকে সত্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয় সে সম্পর্কে প্লেটোর মতামতকে বুঝতে হলে প্লেটোর ‘ফরম’ সম্পর্কিত মতবাদকে প্রথমে বোঝা দরকার। বস্তুর ‘ফরম’ বা রূপ সম্পর্কিত মতবাদে প্লেটো বলেছেন যে দুনিয়ার সব বস্তুই মূলত ঈশ্বরের কাছে বা স্বর্গে রক্ষিত আদর্শ বস্তুটির বিভিন্ন অপূর্ণাঙ্গ অনুকরণের রূপ। যে খাটটি মিস্ত্রি বানাচ্ছেন সেটি এক এক মিস্ত্রির হাতে এক এক রকম হচ্ছে কারণ সেটি স্বর্গীয় আদর্শ খাটটির বিভিন্ন অপূর্ণাঙ্গ অনুকরণ। অপূর্ণাঙ্গ হিসেবে এভাবে দুনিয়ার প্রতিটি বস্তুই মূল ও সত্যিকার বস্তুর এক একটি বিকৃত রূপ। বস্তুর আদর্শ রূপ এভাবে এক ধাপ বিকৃত হয়ে দুনিয়ায় প্রবেশ করে। এরপর কোনো শিল্পী যখন এটিকে চিত্ররূপ দেন তখন তার হাতে সেটি আরেক ধাপ বিকৃত হয়, কারণ শিল্পী তো খোদ বস্তুটি তাঁর ক্যানভাসে তুলে আনতে পারেন না, তিনি ক্যানভাসে তুলে আনেন বস্তুটির বহিরাঙ্গিক দৃশ্যমান রূপ (appearance)। আর দৃশ্যমানতা সত্য রূপ হতে পারে না। এক সারিতে নির্দিষ্ট দূরত্বে তিনটি সমান উচ্চতার খুঁটি পুঁতে যেকোনো এক প্রান্ত থেকে দেখতে গেলে দেখা যাবে সবচেয়ে কাছের খুঁটিটি সবচেয়ে বেশি উঁচু, মধ্যেরটি তার চেয়ে খাটো এবং তৃতীয়টি আরও খাটো। শিল্পী যখন চিত্রে খুঁটিটির তিনটি দেখাবেন তখন তিনটিকে সমান উচ্চতায় দেখোতে পারবেন না। তাকে দেখাতে হবে তিনি যেভাবে একটির পর একটি খাটো দেখছেন সেভাবে। ফলে শিল্পীর তুলিতে বস্তুর যে রূপ প্রতিভাত তা সত্যিকার বস্তুটির বিকৃতির তৃতীয় ধাপ। 
          শিল্পীর মতো কবিও মানুষকে শব্দের অনুকরণে মূর্ত করতে গিয়ে ঐ মানুষটিকে মূল রূপ থেকে বিকৃতির তৃতীয় ধাপে পৌঁছে দিতে বাধ্য। মানুষটির মূল রূপ হলো তার অন্তস্থ আত্মায় (inner self), যা বস্তুর স্বর্গীয় রূপের সাথে তুলনীয়। কবি মানুষটির সেই রূপকে দেখতে পান না, এবং তা অনুকরণও করতে পারেন না। তিনি অনুকরণ করেন মানুষের কাজের মধ্যদিয়ে প্রদর্শিত আবেগ অনুভূতির রূপটি। সেই রূপ মানুষটির অন্তস্থ রূপের (inner self), এক ধাপ বিকৃতি। আবার কবি মানুষের কাজ ও অনুভবের প্রদর্শিত রূপটিও তুলে আনেন তাঁর কাছে যেমন মনে হয় তেমন (appearance) রপে। ফলে তা আরেক ধাপ বিকৃতির শিকার হয়। এভাবে কবি যা সাহিত্যে তুলে আনেন তা ‘সত্য’- এর তৃতীয় বিকৃত ধাপ। 
          অনুকরণরূপী সাহিত্যের (mimetic literature) বিষয়ে আরো একটি অপবাদ প্লেটো বা সক্রেটিসের পক্ষ থেকে রয়েছে। সে অপবাদ মতে সাহিত্যের মাধ্যমে জ্ঞানের পরিবর্তে অজ্ঞানতার প্রচার ঘটে। প্লেটো বলতে চান যে, কবি বা সাহিত্যিক মানুষের ভালো দিক বা সদাত্মার যে প্রচার করবেন তা তো কবির পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর মতে মানুষের সদগুণ বা সদরূপ হলো তাঁর প্রশান্ত অন্তরাত্মা (harmoniously organised innerself)। এই সদরূপ পরিচালিত হবে শুধু যুক্তি (reason) দ্বারা।  তার মধ্যে কোনো আবেগ বা অনুভবের বহিপ্রকাশ থাকবে না। এই ‘প্রশান্তিময়তা’ সদাত্মার আবশ্যিক গুণ। কিন্তু এমন প্রশান্তিময় সদাত্মার তো কোনো বাহ্যিক প্রকাশ সম্ভব নয়, ফলে কবির পক্ষে তা অনুকরণ করাও সম্ভব নয়। ফলে কবি যাকে সদাত্মার অনুকরণ রূপে প্রকাশ করছেন তা মূলত কবির একটি অজ্ঞানতার প্রচার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা যে হোমারকে জানি যে, তিনি সদাত্মার অনুকরণ করে মানুষকে সৎ ও শুভ পথে চরিচালনায় সাহায্য করছেন, তা এই অজ্ঞানতার প্রচারের কারণে আমাদের মধ্যে চলমান একটি ভুল জ্ঞান। হোমার বা ইস্কিলাস কারো পক্ষেই সদাত্মার অনুকরণই সম্ভব নয়, যেহেতু সদাত্মার কোনো প্রকাশিত ও প্রদর্শিত রূপই নেই। একই সাথে মাইমেটিক আর্ট হিসেবে সাহিত্যের প্রতি প্লেটোর আরেকটি অপবাদ হলো সাহিত্য সদাত্মার প্রকাশ বা প্রচার ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে মানুষের ভিতরে দূষিত ও নষ্ট অনুভবের জঞ্জাল উৎপাদন করে। 
          সক্রেটিস ও প্লেটো সাহিত্যকে এভাবেই তুলোধুনো করেছেন বিভিন্ন দিক থেকে। কবিদেরকে প্লেটো তাঁর আদর্শ নগররাষ্ট্রে কোনো স্থান দেননি। কিন্তু মজার বিষয় হলো সাহিত্যকে তুলোধুনো করে এত কথা যিনি ‘দি রিপাবলিক’- এ লিখলেন তাঁর নাট্যরীতিতে লিখিত সেই ‘দি রিপাবলিক’ও কি একটি সাহিত্যগ্রন্থ নয়? সে প্রশ্ন করার জন্য সক্রেটিস বা প্লেটো কেউই আমাদের সামনে উপস্থিত নেই। তবে আমাদের সামনে উপস্থিত আছে প্লেটোর যোগ্য শিষ্য এরিস্টটলের ‘পোয়েটিকস’। আমরা দেখতে চেষ্টা করবো অনুকরণরূপী শিল্প হিসেবে সাহিত্যের যত দোষ এরিস্টটলের গুরুরা বললেন, এরিস্টটল সেই দোষ কতটা স্বীকার করলেন। চলবে

পর্ব—এক

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!