বরগুনায় আট বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টাকালে নাইমুর রহমান নাঈম (২৯) নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। নাঈমের বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জের পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ রয়েছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের উত্তর ইটবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নাঈম বরগুনা সদর উপজেলার কেওরাবুনিয়া ইউনিয়নের লতাবাড়িয়া গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে শিশুটি মাদ্রাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। পথে উত্তর ইটবাড়িয়া এলাকার তুলাতলা স্কুলের কাছে ঝালমুড়ি বিক্রেতা নাঈম তার পথ আটকে বাজে কথা বলে। শিশুটি নাঈমের কথা এড়িয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নাঈম শিশুটিকে টেনে নিয়ে স্কুলের টয়লেটে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে সে পালিয়ে যায়। শিশুটি পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। পরে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে নাঈমকে আটক করা হয়। খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাঈমকে আটক করে বরগুনা সদর থানায় নিয়ে আসে। এরপর নাঈমকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওসি। এ সময় নাঈম গত মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে আসে বলে জানায়। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় তার নামে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা আছে বলেও তথ্য দেয় নাঈম।
বরগুনা সদর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের তুলাতলা গ্রামে একটি শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈমকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত নাঈমের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, আড়াইহাজার উপজেলার পুরিন্দা গ্রামের পাঁচ বছরের এক শিশুকে আইসক্রিম খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে নাঈম।