কুঁচকির চোটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লাইপজিগের বিপক্ষে খেলতে পারেননি নেইমার। লিগ ওয়ানে অলিম্পিক মার্শেইয়ের বিপক্ষে ঠিকই মাঠে ফিরেছেন। তবে তার ফেরাটা সুখকর হয়নি। লিওনেল মেসি-এমবাপ্পে-নেইমার ত্রয়ীরা মিলেও প্যারিস সেন্ত জার্মেইকে পারেনি জেতাতে। লিগ ওয়ানে অলিম্পিক মার্শেইয়ের বিপক্ষে ১০ জন নিয়ে গোলশুন্য ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দলকে।
পিএসজি ১১ ম্যাচে নবম জয় ও প্রথম ড্রতে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। মার্শেই এক ম্যাচ বেশি খেলে তৃতীয় ড্রতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে।
প্রতিপক্ষের মাঠে বল দখলে এগিয়ে থেকেও গোল করতে পারেনি পিএসজি। মেসি-নেইমাররা গোলের সুযোগ তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ হয়নি। বরং মার্শেই ম্যাচ ঘড়ির ৪ মিনিটের সময় ভালো সুযোগ নষ্ট করে। যদিও অরক্ষিত অবস্থায় থেকে মিলিকের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
১৪ মিনিটে পিএসজি অফসাইডের কারণে গোল পায়নি। ৮ মিনিট পর মার্শেইয়ের গোলও বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।
২৬ মিনিটে দি মারিয়ার চিপে মেসির জোরালো হেড গোলকিপার লোপেজ ক্রস বারের ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিয়ে দলকে গোল হজম করতে দেননি।
৪১ মিনিটে মার্শেইয়ের আক্রমণ আশরাফ হাকিমি ফিরিয়ে দিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন।
বিরতির পরও কোনও দল লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। বরং ৫৭ মিনিটে পিএসজি ১০ জনের দলে পরিণত। আশরাফ হাকিমি প্রতিপক্ষের এক উইঙ্গারকে কঠিনভাবে চ্যালেঞ্জ জানালে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
১০ জনের দল নিয়ে পিএসজি ৪-২-৩-১ থেকে ৪-৪-১ ফর্মেশনে খেলতে থাকে।
প্রতিপক্ষ একজন কম হওয়াতে মার্শেই আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয়। এসময় যেন নেইমার-মেসিরা এক পয়েন্টের জন্য খেলেছে!
৬৫ মিনিটে মার্শেই আরও একটি সুযোগ পায়। কিন্তু পায়েটের ক্রসে রনগিয়েরের প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৭ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে ডি লা ফুয়েন্তে গোলকিপার নাভাসকে পেয়ে বাইরে দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। তবে ম্যাচের বাকী সময়টুকুতে কোনও গোলই হয়নি। এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল।