X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

বিরোধী দলগুলোতে ‘দেনা-পাওনা’র নতুন হিসাব

সালমান তারেক শাকিল
১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৯:৪৩আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৪২

জোটবদ্ধ নাকি যুগপৎ—এ প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোতে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দাবি মোতাবেক নির্বাচন আদায়ে বিএনপিকে কেন্দ্রে রেখে ঐক্যবদ্ধ হতে চাইছে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো। আর এই চাওয়ায় যুক্ত হয়েছে নতুন হিসাব-নিকাশ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন ভাগাভাগির ‘জাতীয় ঐক্যের’ ফরমেশনে দলগুলোর আর আগ্রহ নেই। তাদের চাওয়া—‘দাবি আদায়ের আন্দোলনে’ বিএনপির মৌলিক অবস্থান কী হবে, তা আগে পরিষ্কার হোক। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিএনপিকেই এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে বলে মনে করেন দলগুলোর নেতারা।

গত দেড় মাসে দেশের সরকারবিরোধী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনের আলাপ হয়। প্রায় প্রতিটি দলের শীর্ষ নেতারাই বলছেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক দেনা-পাওনার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে—রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপির নতুনত্ব কী হবে। ‘শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন প্রশাসন ও বিচার বিভাগ, স্বনির্ভর আমলাতন্ত্রসহ রাষ্ট্রের মৌলিক বিষয়গুলোতে সুস্পষ্টভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে আগামী দিনে রাজপথের ঐক্য গড়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে জোটবদ্ধ বা যুগপৎ— উভয় সম্ভাবনার দুয়ার খোলা থাকবে বলে জানান নেতারা।

বিএনপির আত্মপর্যালোচনা চান বিরোধী নেতারা

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে বর্তমানে জোটবদ্ধ ও অতীতে জোট ছেড়ে গেছে—এমন দলগুলোও নতুন করে ‘সুষ্ঠু’ নির্বাচনের স্বার্থে ‘রাজনৈতিক সম্মিলন’ চাইছে। সেক্ষেত্রে দলীয়ভাবে বিএনপির নেতৃত্ব ও দলটির সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ‘নিশ্চয়তা’ চাইছেন তারা।

বিএনপির সঙ্গে জোটভুক্ত ও যুগপৎ হতে আগ্রহী কয়েকজন নেতা বলেন, জোট সরকারের সময়ে সরকারের সমান্তরাল ‘হাওয়া ভবন সংস্কৃতি’ থেকে বিএনপিকে বেরোতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ঘিরে এখনও সেই কুশীলবরা সক্রিয় থাকায় আশঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না তারা।

বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ একটি দলের শীর্ষনেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, লন্ডনের ‘জেন্টেলম্যান রিমোট কন্ট্রোলে’ পরিচালিত কিনা, সেটা প্রশ্নবোধক। তিনি দেশের গ্রাউন্ড রিয়েলিটি সম্পর্কে কতটা অবহিত, সেটাও উল্লেখযোগ্য।

জোটে থাকা একটি দলের শীর্ষ এক নেতা উল্লেখ করেন, বিগত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে হাওয়া ভবনের সক্রিয়দের মনোনয়ন, দলের কমিটি গঠনে সেই কুশীলবদের সরাসরি হস্তক্ষেপ বিএনপিতে অব্যাহত রয়েছে। লন্ডনে এখনও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যেকোনও অনুষ্ঠানে তাদের অবস্থান এবং অতি সম্প্রতি ‘সাত নভেম্বর’ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে তাকে পাশে রেখে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রদানসহ নানা ইস্যুতে পরিষ্কার—‘হাওয়া ভবন সংস্কৃতি’ থেকে বেরোতে পারেনি বিএনপি।

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতার সঙ্গে এ প্রসঙ্গটি নিয়ে আলাপ করতে চাইলে তারা কেউই উদ্ধৃত হতে রাজি হননি। তবে, কয়েকজন নেতা বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপে স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন বিভাগে জেলা কমিটি গঠন, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আহ্বায়ক কমিটি গঠনে হাওয়া ভবন সংশ্লিষ্টদের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ কাজ করেছে। আর তারা প্রত্যেকেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে যুক্ত থাকায়— তাদের পাশ কাটিয়ে যেতে হয়।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগ, ভোটের অধিকারসহ কিছু ইস্যুতে ন্যূনতম রাজনৈতিক ঐকমত্য বিরোধী দলগুলোতে আছে। এই ঐকমত্যকে কেন্দ্র করে সমন্বিতভাবে যুগপৎ ধারায় আন্দোলন শুরু করার প্রক্রিয়াটিও সবার উপলব্ধিতে রয়েছে।’ তবে সাইফুল হকের মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার—অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো এবং সংবিধানের গণতান্ত্রিক সংস্কার।

বিএনপির নাম উল্লেখ না করে বাংলা ট্রিবিউনকে সাইফুল হক বলেন, ‘অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তাদের পরিষ্কারভাবে বলেছি—অতীতে যেসব গণবিরোধী কাজ হয়েছে, সে বিষয়ে আত্মপর্যালোচনা থাকা দরকার। বিশ্বাসযোগ্যভাবে দেশবাসীর কাছে নিজেদের আত্মসমালোচনা উত্থাপন করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ রূপকল্প সুনির্দিষ্টভাবে জনগণের সামনে আনা। তাহলে মানুষের মধ্যে আস্থা, ভরসা বাড়বে। কেবল হৈ-হৈ-রৈ-রৈ করে সরকারের পদত্যাগ দাবি করলেই হবে না।’

বক্তব্যে ঐক্য-ঐক্য করলেও বিএনপি অ্যাপ্রোচ করছে না

সমমনা রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিএনপির নেতারা সভা-সেমিনারে বক্তব্যে ঐক্য-ঐক্য করেন, কিন্তু তারা কোনও দলকেই অ্যাপ্রোচ করেন না। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে, দলের অস্তিত্ব পুরোপুরি বিপন্ন হবে, এতে মানুষ আর সন্দেহ করে না।

‘আমেরিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রিত হয়নি—এ প্রসঙ্গটি অত্যন্ত সিগনিফিকেন্ট’ উল্লেখ করে একটি দলের প্রধান বলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও ক্ষমতাসীনরা ধীরে ধীরে জটিলতার সম্মুখীন। এটাকে নিয়ামক হিসেবে মেনে বিএনপি কতখানি রাজপথে সক্রিয় হতে পারবে—প্রশ্ন করেন এই নেতা। তিনি আরও বলেন, তবু এটাই সত্যি যে বড় দল হিসেবে বিএনপিকেই বিষয়টি সামনে আনতে হবে, ঐক্যের আহ্বান জানাতে হবে। মানুষ তাদের ডাকেই সাড়া দেবে।

বিএনপিকে সামগ্রিক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে

২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বিএনপি-জোট থেকে বেরিয়ে যায়। ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় সামগ্রিকভাবে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে’ বিএনপির সঙ্গে আবারও কাজ করতে ইতিবাচক জেবেল রহমান গানি।

বাংলা ট্রিবিউনের কাছে তার মন্তব্য, ‘আমরা এবার টোটাল প্যাকেজ চাই। দেশের বর্তমান সমস্যা কেবল ঐক্য হলেই সারবে না। একটি নির্বাচন কেন্দ্রিক সমঝোতা বা একদিনের গণতন্ত্রে দেশের মানুষ বিশ্বাস রাখবে না। সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা, ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় সাংবিধানিক কী পরিবর্তন আনা সম্ভব, এ বিষয়ে বিএনপিকে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করতে হবে।’

২০০৮ সালের পর দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই যাত্রার শুরুটা হয়েছিল নব্বই সালের পর, উল্লেখ করে জেবেল রহমান গানি বলেন, ‘দেশের প্রশ্নবিদ্ধ বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনে দলীয়করণ, অনির্বাচিত সংসদসহ সর্বত্র নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর থেকে বেরোতে চাইলে প্রয়োজন পরিবর্তনের নতুন রাজনীতি। সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি ও জবাবদিহি নিয়ে বিএনপি যদি দেশবাসীকে তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানায়, তবে জনগণকে পাশে আনতে আমরাও তাদের পক্ষে কাজ করবো।’

বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ আন্দোলনের বিষয়ে কোনও ‘ইতিবাচক অবস্থান’ না থাকলেও ‘রাজপথে কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনের বিষয়ে ঐকমত্য’ রয়েছে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলনের। দলের প্রধান এই সমন্বয়কারী জানান, তার দল মনে করে, চারটি দাবির ভিত্তিতে আগামী দিনে ‘আন্দোলন’ গড়ে উঠতে পারে। এসব দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ‘বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

‘এক টেবিলে বসে আসন কেন্দ্রিক ভাগ-বাটোয়ারার ঐক্যে দেশের পরিবর্তন হবে না’ বলে মনে করেন বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘একটি নির্বাচন হয়ে গেলেই দেশের সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ-ডাকসুর  সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, ‘সংবিধানের সংস্কার করতে হবে। ড. কামাল হোসেনও এই সংস্কারের কথা উল্লেখ করেছেন। আমরা রাষ্ট্রের স্থায়ী পরিত্রাণ চাই। আগামীতে সেই আলোকে আন্দোলন হবে।’ কেবল নির্বাচন বা সরকার পতনের আন্দোলন হবে না, সেই আন্দোলনে মানুষ সাড়া দেবে না বলে মনে করেন নুর।

‘প্রহসনের কোনও নির্বাচনে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) অংশগ্রহণ করবে না’ বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মনজু। তিনি বলেন, ‘কিন্তু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ের আন্দোলনে আমরাও আছি। এককভাবে আমরা কর্মসূচি দিচ্ছি এবং সামনেও দেবো। যুগপৎভাবেও আমরা কর্মসূচি দেবো। তবে আন্দোলন-সংগ্রামে বড় দল হিসেবে বিএনপি যদি এই আন্দোলনে সব দলকে একত্রে আনতে চায়, সেক্ষেত্রে সেই জোটে আমরা যাবো কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে।’

বিএনপির প্রভাবশালী একজন দায়িত্বশীল জানান, জামায়াতের বিষয়টি নিষ্পত্তি হলে হেফাজতে ইসলামভুক্ত ধর্মভিত্তিক দলগুলোতেও নতুন মেরুকরণ দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী একটি দলের আমির সামনে আসতে পারেন। বিএনপি সব প্রচেষ্টাই শুরু করেছে বলে দাবি এই দায়িত্বশীলের।

জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এখনও নির্বাচনের দেড় থেকে দুই বছর সময় বাকি আছে। সরকারের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে এখন থেকেই আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ার সময়। একমঞ্চে না হোক, এসব দাবিতে অন্তত যুগপৎ আন্দোলনের জন্য বিএনপিকেই উদ্যোগ নিতে হবে, এর বিকল্প নেই।’

দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিএনপির

বিএনপির পক্ষ থেকেও সমমনা বিরোধী দলগুলোকে আশ্বস্ত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইতোমধ্যে এক অনুষ্ঠানে ‘নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করবো—এই মুহূর্তে আমরা আমাদের ছোটখাটো সমস্যা ভুলে যাই। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন ছিল, তা আবারও ফিরিয়ে আনার জন্য একটা লড়াই-সংগ্রাম করি। আমরা লড়ছি। এইটুকু আশা করবো—সবাই একসঙ্গে এ লড়াইয়ে আসি, তারপর যার যেটা পাওনা সেটা বুঝে নেবেন।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘২০১৭ সালের ১০ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘ভিশন-২০৩০’ রূপকল্প দিয়েছিলেন। সেই রূপকল্পে তিনি জাতিকে জানিয়েছিলেন ‘বিএনপি একদিনের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল নয়।’ সেই রূপকল্পে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা আছে—বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য করা হবে।’’

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক দল, বাকশাল থেকে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়েছেন জিয়াউর রহমান। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সংসদে গেছেন খালেদা জিয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও দিয়েছে বিএনপি। ফলে, গণতন্ত্রের জন্য যা যা করা দরকার, সব বিএনপি করেছে।’

‘‘রূপকল্পে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিল, আজ সে রাষ্ট্রের মালিকানা তাদের হাত নেই। তাই দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে চায় বিএনপি।’ ম্যাডামের সেই রূপকল্প অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিএনপি’’—উল্লেখ করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

আরও পড়ুন:

ক্ষমতায় গেলে ফের গণভোট চালু করবে বিএনপি

সুপ্রিম কোর্টের অধীনে আলাদা সচিবালয় চায় বিএনপি

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চান খালেদা জিয়া

বিএনপির ভিশন-২০৩০ আ. লীগের রূপকল্প-২০২১ এর প্রতিচ্ছবি: প্রধানমন্ত্রী

 

/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দুবাইতে বিশ্বের ২৩ নম্বর চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
দুবাইতে বিশ্বের ২৩ নম্বর চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
সর্বাধিক পঠিত
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
এডিবি কর্মকর্তা গোবিন্দ বরের বিরুদ্ধে বিশিষ্টজনদের হয়রানির অভিযোগ
এডিবি কর্মকর্তা গোবিন্দ বরের বিরুদ্ধে বিশিষ্টজনদের হয়রানির অভিযোগ