ঘরোয়া ক্রিকেটে ২১ মাস ধরে লংগার ভার্সনের কোনও ম্যাচ খেলা হয়নি নাঈম শেখের। লাল বলের ক্রিকেটে তার পরিসংখ্যানও হতাশাজনক। তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টের ২০ জনের দলে তার সুযোগ হয়েছে। এই অন্তর্ভুক্তিতে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্টের বড় একটি অংশ অধিনায়ক, তাই প্রশ্নটা মুমিনুল হকের কাছে অবধারিতভাবেই গেলো। কিন্তু প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর মতো মুমিনুলও নাঈমকে স্কোয়াডে রাখার অস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য ২০ জনের স্কোয়াডে ঘোষণা করে বিসিবি। সেখানে বিস্ময়করভাবে ছিলেন নাঈম। সাইফ হাসান টাইফয়েডে ছিটকে যাওয়ায় সেই স্কোয়াড এখন ১৯ জনের। কাউকে দলে নেওয়া কিংবা বাদ দেওয়ার বিষয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুলের কতটা সম্পৃক্ততা আছে, এমন প্রশ্নে বাঁহাতি ব্যাটার জানালেন, ‘অবশ্যই দল সাজানো থেকে শুরু করে কে খেলবে না খেলবে, কারা ঢুকছে না ঢুকছে, এই ব্যাপারে আমিই ভূমিকা রাখি। অনেক কিছু আমার মাধ্যমেই আসে। টস জেতা, কে খেলবে না খেলবে ইত্যাদি সব।’
মুমিনুলের কথাতেই স্পষ্ট নাঈমকে দলে ডাকার পেছনে তার ভূমিকা রয়েছে। মুমিনুলও স্বীকার করলেন সেটি। কিন্তু যে ব্যাখ্যা দিলেন তাতে পরিষ্কার হলো না, ‘সত্যি বলতে আমার আর কোনও ব্যাকআপ ওপেনার নেই। নাঈমের কথা যেটা বললেন, একটা খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক খেলার ভেতরে আছে। হঠাৎ একটা খেলোয়াড়কে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এনে খেলানোটা তার জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। নাঈম শেখের কথা যেটা বললেন এক-দেড় বছরে চার দিনের ম্যাচ খেলেনি। গত এক দেড় বছরে টি-টোয়েন্টি খেলা ছিল, বাকি সময়টাতে কোভিডের কারণে কেউই খেলতে পারেনি।’
লাল বলের ক্রিকেট এবং সাদা বলের ক্রিকেটে বিস্তর পার্থক্য। বোলারদের আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকে। লাল বলে মুভমেন্ট থাকে অনেক। এই অবস্থায় লাল বলের ক্রিকেটে নাঈমকে বিবেচনা করা কতটা যুক্তিযুক্ত? মুমিনুল বললেন, ‘লাল বল, সাদা বল অবশ্যই ম্যাটার করে। কিন্তু আপনার যখন ব্যাকআপ ওপেনার থাকবে না, তখন আল্টিমেটলি যে খেলার ভেতরে থাকবে অনুশীলন করিয়ে ক্যারি করবেন।’
অথচ বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় লিগ ও বিসিএলের মতো টুর্নামেন্ট আছে। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় লিগের ৬ রাউন্ড খেলেছেন ক্রিকেটাররা। টেস্ট ব্যাকআপ বিবেচনায় সেখান থেকেও কাউকে নেওয়া যেতো। যদিও মুমিনুল জানালেন, খেলার ভেতরে থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘(ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলোয়াড়রা) বিবেচনায় আসে না, তা না। আমার কাছে মনে হয় যে, খেলার ভেতর থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।’