লিবিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল দেশটির নবগঠিত জোট সরকারের পরিমার্জিত গঠনতন্ত্র ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত এই সরকার উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রবিবার কাউন্সিলের সদস্য ফাতি আল-মাজবারি এক টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেন, ১৩ মন্ত্রী ও পাঁচ প্রতিমন্ত্রীর নামের একটি তালিকা লিবিয়ার সংসদে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই সংসদ প্রস্তাবিত ৩২ মন্ত্রীর তালিকা অতিদীর্ঘ বলে খারিজ করে।
জাতিসংঘের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই জোট সরকার ইসলামিক স্টেট জঙ্গি মোকাবেলায় সমর্থ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাউন্সিল সদস্য মাজবারি বলেন, ‘নতুন এই সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনের কৌশল নির্ধারণ করবে।’
তবে গত ডিসেম্বরে মরক্কোতে চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পর থেকেই এই সরকার গঠন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়ে আসছে। চুক্তি অনুমোদন করেন নয়টি বিরোধী দলের প্রতিনিধি ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচিত প্রতিনিধি। কাউন্সিলের প্রধান ফায়েজ সিরাজ রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিজ্ঞতা, কর্মদক্ষতা, ভৌগলিক বিস্তার ও রাজনৈতিক অন্তর্দৃষ্টি নিয়েই লিবিয়ার সমাজ গড়ে উঠেছে।’
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের দূত মারটিন কবলার প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘লিবিয়ার মানুষের শান্তির যাত্রা শুরু হলো।’ এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ত্রিপলি ভিত্তিক সাদেক ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা আনাস এল গোমাতি বলেন, সাম্প্রতিক এই চুক্তি লিবিয়ায় শান্তি বয়ে আনবে, এমনটা না-ও হতে পারে.'
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, “আমি নতুন এই পদক্ষেপ নিয়ে আশাবাদী। যদিও ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ধারণার পেছনেই লুকিয়ে রয়েছে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধকে বিনষ্ট করার মত উপাদান। কৌশলগত যুদ্ধের মূল বিষয় অর্থনৈতিক, সেনা ও অন্যান্য সম্পদ সংক্রান্ত।”
তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার প্রক্রিয়া কিছু লোককে এক টেবিলে বসানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি।ফলে আমরা শান্তি সরকার পেয়েছি, শান্তি চুক্তি পাইনি।’
প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে লিবিয়ার অরক্ষিত অবস্থার সুযোগ নিয়ে সিরতে নগরীর দখল নিয়েছে ইসলামিক স্টেট।ফলে সন্ত্রাসবাদ দমন লিবিয়ার শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে প্রধানতম বিবেচ্য হয়ে উঠেছে। সূত্রঃ গার্ডিয়ান, আল জাজিরা
/ইউআর/বিএ/