ইএফডিতে নজর দিয়ে হিরো হতে পারেন এনবিআরের চেয়ারম্যান

গত দেড় দশক ধরে ভ্যাট মেশিন বসানো বাধ্যতামূলক করা হলেও এখনও পর্যন্ত সারা দেশে ২০ হাজার মেশিনও বসেনি। যদিও ভ্যাট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের  সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে  ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোর ওপর নজর দেওয়া হলে ভ্যাটের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে। একইসঙ্গে হিরো হতে পারেন এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

অভিযোগ রয়েছে, গ্রাহকরা  ভ্যাট দিলেও বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে  ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) না থাকায় এই ভ্যাট সরকারি কোষাগারে ঠিকমতো জমা হচ্ছে না। অবশ্য এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— সংখ্যায় কম হলেও ইএফডি মেশিন স্থাপনের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ভ্যাট আদায়ে।

এনবিআরের ভ্যাট বাস্তবায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সদস্য ড. মইনুল খান এর আগে বাংলা ট্রিবিউনকে এ বিষয়ে বলেছিলেন, এখন এই ডিভাইস ব্যবহার করে কর প্রশাসন প্রতিটি দোকান থেকে মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পাচ্ছে। ইএফডি চালুর আগে প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক ভ্যাটপ্রাপ্তির পরিমাণ ছিল চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।

তিনি জানিয়েছিলেন, চলতি অর্থবছরে আরও ৬০ হাজার এবং আগামী পাঁচ বছরে আরও তিন লাখ ইএফডি চালুর পরিকল্পনা আছে এনবিআরের।

উল্লেখ্য, দেশে সব ধরনের পণ্য এবং সেবার ক্ষেত্রে গ্রাহকরা বাধ্যতামূলকভাবেই ভ্যাট দিয়ে থাকেন। কিন্তু সরকারি কোষাগারে বেশিরভাগ ভ্যাট আসে মোবাইল ফোন, সিগারেট, কোমল পানীয়, গ্যাস ইত্যাদি খাত থেকে।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) দেশে বিভিন্ন খাত থেকে মোট ভ্যাট আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯২ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে (জুলাই -মার্চ পর্যন্ত) মাত্র ১ লাখ ৭০২ কোটি টাকা।

তবে এই খাত থেকে আরও বেশি ভ্যাট আদায়ের সুযোগ রয়েছে বলে অর্থনীতিবিদ ও রাজস্ব কর্মকর্তারা মনে করেন।

এনবিআরের এক সমীক্ষায় বলা হয়, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা খাতে বছরে যে পরিমাণ লেনদেন হয়, তা মোট দেশজ উপাদন বা জিডিপির ১৩ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা থেকে নামমাত্র ভ্যাট আহরণ হয়। বর্তমানে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা আসে খুচরা-পাইকারি খাত থেকে।

রাজস্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইএফডি স্থাপনের পাশাপাশি ঠিকমতো আদায় করতে পারলে এখান থেকে বছরে বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ ভ্যাট আদায় করা সম্ভব। তারা বলছেন, ভ্যাট আদায় বাড়াতে হলে এখনই ইএফডি মেশিন স্থাপনে জোর দিতে হবে। তারা আরও বলছেন, এনবিআরের এই মুহূর্তে উচিত ইএফডি মেশিন স্থাপনকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

এমনকি দোকান ব্যবসায়ীরাও বলছেন— দেশের সব দোকানে ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হলে অন্তত ১০ গুণ বেশি ভ্যাট পাবে সরকার।

বর্তমানে খুচরা পর্যায়ের ব্যবসা থেকে সরকার ভ্যাট পাচ্ছে মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকার মতো। দোকান মালিক সমিতির হিসাবে ইএফডি মেশিন স্থাপনে জোর দেওয়া হলে এই খাত থেকেই বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট পাওয়া সম্ভব। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইএফডি স্থাপনের পাশাপাশি ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করা গেলে শুধু দোকান থেকেই প্রতিবছর অন্তত পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  ‘যে পরিমাণ ইএফডি মেশিন আমাদের প্রয়োজন এনবিআর তা দিতে পারছে না।’ তিনি মনে করেন, ভ্যাট আদায়ে দোকানগুলোকে যুক্ত করে দেশের সব দোকানে ইএফডি দেওয়া সম্ভব হলে অন্তত ১০ গুণ বেশি রাজস্ব পাবে সরকার। হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে সব মিলিয়ে ২০ হাজারেরও কম মেশিন বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসেছে, যেখানে সারা দেশে দোকানের সংখ্যা ৬৫ লাখের বেশি। ইএফডি স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে ৫ বছর আগে, অথচ  ইএফডি বসেছে এক শতাংশেরও কম।’ এই এক শতাংশ বসানো নিয়েও কিছুটা বিশৃঙ্খলা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘একই মার্কেটে কিছু দোকানে ইএফডি মেশিন আছে, আবার কিছু দোকানে নেই। যার দোকানে মেশিন আছে, সেখানে ভ্যাট নেওয়া হলেও সেই দোকানে কাস্টমার যাচ্ছে না। এজন্য পুরো মার্কেটে ইএফডি থাকা জরুরি।’

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘শুরুতে খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের কাছে বিনামূল্যে ইএফডি মেশিন পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিল এনবিআর। পরে তা হয়নি। পরে  প্রতিটি ইএফডির দাম ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এনবিআরের অনুরোধে পরে  সিদ্ধান্ত নিলাম— আমরাই মেশিনটা কিনে নেবো। এখন এই মেশিন কিনতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, যে পরিমাণ মেশিন আমাদের প্রয়োজন— এনবিআর তা দিতে পারছে না।’ তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসায়ীরা ইএফডি চায়। ব্যবসায়ীরা সরকারের নিয়ম মেনে শান্তিতে ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু কিছু মানুষের লোভ-লালসার কারণে সেটি সম্ভব হয় না।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের প্রধান উৎস ভ্যাটের বড় একটি খাত হচ্ছে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের ব্যবসা। কিন্তু এ খাতে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি হয়। মোট ভ্যাট আদায়ের মাত্র তিন শতাংশ এখান থেকে আসে। একাধিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায় আদায়যোগ্য ভ্যাটের ৯০ শতাংশই ফাঁকি হয়। বর্তমানে খুচরা ব্যবসায় ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ।  ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে দোকান মালিক আছেন ৭৫ লাখের বেশি। তারা যদি মাসে গড়ে ২০ হাজার টাকা ভ্যাট দেন, তাহলে বছরে এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পায় সরকার। এর সঙ্গে অন্যান্য খাতের বড় বড় দোকানির ভ্যাট যোগ হলে পরিমাণটা দ্বিগুণ হতে পারে।

২০২১ সালে ভ্যাট গোয়েন্দারা  ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের আটটি মার্কেটে একটি জরিপ পরিচালনা করেছিল। সেখানে মোট ১০২৪টি দোকানের ওপর অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, এর মধ্যে ভ্যাট নিবন্ধিত দোকানের সংখ্যা মাত্র ১২০টি। সেখানে ভ্যাট দেয় না ৯০৪টি প্রতিষ্ঠান। এমনকি বড় বড় শহরগুলোতেও অসংখ্য খাবার, কাপড় বা সেবা প্রতিষ্ঠান ভ্যাটের তালিকাভুক্ত নয়। দেশের মোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় অংশটিকেই পুরোপুরি ভ্যাটের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। ঢাকার বাইরের এলাকাগুলোতে এই ভ্যাট না দেওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। যদিও ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনও ভ্যাটযোগ্য ব্যবসা শুরু করার আগেই নিবন্ধন গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।

রাজধানীর মানিক নগর বিশ্বরোড এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছে রয়েল ভিলেজ নামে একটি রেস্টুরেন্ট। সরেজমিনে দেখা গেছে, ইএফডি মেশিন থাকা সত্ত্বেও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই রেস্টুরেন্ট ভোক্তাদেরকে ভ্যাটের চালান দেয় না। ভোক্তা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ভ্যাটের ইসিআর রশিদ চাইলে তখন অতিরিক্ত টাকা আদায় করে রেস্টুরেন্টটি। ভ্যাট ফাঁকির তালিকায় শুধু রয়েল ভিলেজ নয়, রাজধানীর শত শত রেস্টুরেন্ট একইভাবে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

গত ২ এপ্রিল বিশ্বব্যাংক বলেছে, এক অর্থবছরেই প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার ভ্যাট থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকার মাত্র ৮৫ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ করতে পেরেছিল। অর্থাৎ সে বছর আদায়যোগ্য ভ্যাটের চেয়ে দুই–তৃতীয়াংশ কম ভ্যাট আদায় হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইএফডি মেশিন ভ্যাট আদায়ে সহায়ক একটি পদ্ধতি। সারা দেশে এই মেশিন স্থাপন করে যথার্থভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হলে ভ্যাট আদায় কয়েকগুণ বাড়বে। কিন্তু সমস্যা হলো— এনবিআরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাই এ উদ্যোগ সফল করতে চান না।’ তিনি মনে করেন, ভ্যাট আদায়ে এনবিআরের দক্ষতা, লোকবলের যেমন অভাব রয়েছে, তেমনই তাদের সদিচ্ছারও ঘাটতি রয়েছে। তারা পেপারবেইজড সিস্টেম থেকে পুরোপুরি বের হতে পারছে না। এখনকার সিস্টেমে তারা খুব কমফোর্টেবল। বর্তমান সিস্টেমে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু কর্মকর্তারা লাভবান হচ্ছেন।  ব্যবসায়ীরাও এটার সঙ্গে সংযুক্ত। তিনি বলেন, ‘এই মেশিনের সুফল পেতে হলে নজরদারি বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে অটোমেশন প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইএফডি জনপ্রিয় হলে ভ্যাট আদায় বাড়বে। তবে এখনও ব্যবসায়ীরা এই ডিভাইস ব্যবহার করতে আগ্রহী নয়। তাদের মধ্যে অনেকেই  গ্রাহকদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন।  অসাধু ব্যবসায়ীরা ইএফডি থাকার পরও ভ্যাট ফাঁকি  দিচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখনও ব্যবসায়ীরা ভ্যাটকে বোঝা হিসেবে দেখেন। এ কারণে ভ্যাট আদায় পদ্ধতি সহজ করতে হবে। কার্যকর রিফান্ড বা ক্রেডিট ব্যবস্থা চালু থাকতে হবে।’ তিনি মনে করেন, ব্যবসায়ীরা ইএফডি ব্যবহার না করে সুবিধা পাচ্ছেন। অসাধু কর্মকর্তারাও এ সুবিধার একটি অংশ ভোগ করছেন।

ইএফডি মেশিন ব্যবহার করে ভ্যাট পরিশোধের জন্য লটারিতে পুরস্কার ঘোষণাসহ এনবিআরের পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যত ফল আসছে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে ইএফডি ছাড়াই ভ্যাট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তদারকি ও সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) চালু করে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায় ভ্যাট আদায় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০০৯ সালে। কিন্তু ওই ব্যবস্থা নানা ধরনের ত্রুটি ও অনিয়মের কারণে ব্যর্থ হয়। ৯ বছর পর ২০১৮ সালে ইসিআরের উন্নত সংস্করণ ইএফডি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন এক বছেরর মধ্যে সারা দেশে ইএফডি বসানোর কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও বাস্তবায়নের চিত্র হতাশাজনক।

অবশ্য এনবিআরের কর্মকর্তাদের ভাষ্য— কারিগরি ত্রুটির কারণে ইএফডি মেশিন স্থাপন ফলপ্রসূ হচ্ছে না।

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবসে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানিয়েছিলেন,  এনবিআর সামনের প্রত্যেক বছর ৬০ হাজার করে এই মেশিন স্থাপন করবে। এনবিআর চেয়ারম্যান মনে করেন, তিন লাখ ইএফডি মেশিন স্থাপন করতে পারলে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হবে। তিনি জানিয়েছিলেন, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে সাড়ে ১৮ হাজার।

এর আগে ভ্যাট আহরণে স্বচ্ছতা আনতে ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএফডিএমএস) চালু করে এনবিআর। মেশিন স্থাপন কাজে গতি ফেরাতে দুই বছর পর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিভাইস বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডকে।

২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ইএফডি বসানোর উদ্বোধনের পরে এনবিআর কিংবা জেনেক্স সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫০৫টি প্রতিষ্ঠানে ডিভাইস বাসাতে পেরেছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৫টি ইএফডি ও ৫০০ এসডিসি।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে আগামী অর্থবছরে এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই লক্ষ্য অর্জনে ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসে জোর দেওয়ার কথা ভাবছে সরকারি এই সংস্থাটি। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানও বলেছেন, ইএফডি মেশিন আরও দ্রুততার সঙ্গে স্থাপন করা দরকার। এই খাতে বরাদ্দের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে সুপারিশ করবো।

আরও পড়ুন:

চাহিদা অনুযায়ী ইএফডি মেশিন পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা

হোটেল রেস্তোরাঁসহ ১৩ প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক

বিনামূল্যে ইএফডি মেশিন আর নয়

ইএফডি বসবে ৩ লাখ, ভ্যাট আসবে ২০ হাজার কোটি টাকা

নতুন আইনে ভ্যাট আদায়ের জন্য এক লাখ ইএফডি কেনার অনুমোদন

৬০ লাখ ইএফডি কবে বসবে?