শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন জনকে হত্যা: পাঁচ কর্মকর্তাসহ ‘জড়িত’ ১২ জন শনাক্ত

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রযশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোরকে হত্যায় জড়িত ১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। এর মধ্যে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে আটক দেখিয়েছে পুলিশ। অপর সাত জন কিশোর বন্দি হওয়ায় তাদের কেন্দ্রে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। 

আটককৃতরা হলেন- কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, প্রবেশন অফিসার মুশফিক আহমেদ, ফিজিক্যাল ইনসট্রাক্টর শাহানুর রহমান, টেকনিক্যাল ইনসট্রাক্টর ফারুক হোসেন।

যশোর ক সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানি শেখ জানান, নিহত পারভেজের বাবা রোকা মিয়া শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।  প্রাথমিক তদন্তে কেন্দ্রে বন্দিদের মারপিট ও হত্যার ঘটনায় ১২জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, প্রবেশন অফিসার মুশফিক আহমেদ, ফিজিক্যাল ইনসট্রাক্টর শাহানুর রহমান, টেকনিক্যাল ইনসট্রাক্টর ফারুক হোসেন উপস্থিত থেকে মারপিটে অংশ নেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া তারা নির্যাতনের কাজে কেন্দ্রের বন্দি সাত কিশোরকে ব্যবহার করেন। জড়িত ওই কিশোরদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বন্দি হওয়ায় এখনই তাদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। রবিবার (১৬ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে তাদের এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারপিটের ঘটনায় তিন বন্দি কিশোর নিহত হয়। এসময় আহত হয় ১৫জন। আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন ও কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন-

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৩ কিশোর নিহতের ঘটনায় মামলা, মরদেহ হস্তান্তর

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক সাময়িক বরখাস্ত, মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি







‘হাত-পা-মুখ বেঁধে পেটায়, ক্রসফায়ারের ভয় দেখায়’
সংঘর্ষের পর বন্দিরা মার খায় কেন্দ্র কর্মকর্তা ও আনসারদের হাতেও!
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ১০ কর্মকর্তা পুলিশ হেফাজতে

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ৩ কিশোর নিহত