মায়ের আহাজারি

‘জুতার জন্য টাকা চেয়েছিল বুলবুল, পাঠানোর আগেই তাকে হারালাম’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে হত্যার ঘটনায় তার বাড়িতে চলছে মাতম। ছেলেকে হারিয়ে মা ইয়াসমিন বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। ক্ষণে ক্ষণে তিনি সচেতন অবস্থায় এসে বলছিলেন ছেলের নানা চাওয়া-পাওয়া আর আবদারের কথা। এদিকে বুলবুলের পরিবারকে সান্তনা দিতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন স্বজন, এলাকাবাসী ও বন্ধুরা। তাদের দাবি বুলবুলকে হত্যাকারীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।   

বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ছাত্র নিহত

নিহত বুলবুলের বাড়ি নরসিংদী শহরের ভেলানগর এলাকায়। তিনি মৃত ওহাব মিয়ার ছেলে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল বুলবুল। 

ছেলের বিষয়ে মা ইয়াসমিন বেগম বলেন, আমার ছেলে গতকালই নতুন জুতা কেনার টাকা চেয়েছিল, দিতে আর পারলাম না। টাকা পাঠানোর আগেই তাকে হারাতে হলো। আমার ছেলে আর কোনোদিন আমার কাছে আবদার করবে না, বারবার আফসোস করে একই প্রলাপ বকছিলেন তিনি। 

ক্যাম্পাসে শাবি শিক্ষার্থী খুন: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলা

এদিকে, ছিনতাইকারীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছি বলা হলেও স্বজনরা তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।  

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে হত্যা: ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি 

এদিকে সোমবার রাতে বাড়িতে মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছালে বুলবুলের বড় ভাই জাকারিয়া এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যা নাগাদ নিহতের লাশ নরসিংদীর বাড়িতে পৌঁছার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

এদিকে রাতে সিলেটের জালালাবাদ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।