এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে

সুপ্রিম কোর্টসিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় যৌথ অনুসন্ধান কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়েছে। পরে আদালত প্রতিবেদনটির ওপর আগামী ১ নভেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে ১৭৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়। তবে আদালতে শুনানি হওয়ার আগে প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছুই বলতে রাজি হননি মামলার আইনজীবীরা। 

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর অনুসন্ধান কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারকে এই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়।পাশাপাশি অনুসন্ধানকালে কমিটির সদস্যদের নিরাপত্তা ও তাদের সহযোগিতা করতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

সিলেটের এম সি কলেজে স্বামীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ব্যবস্থা চেয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন। পরে আদালত এ বিষয়ে আইনজীবীকে আবেদন দাখিল করতে বলেন। পরে আইনজীবী গৃহবধূর ধর্ষণের ঘটনায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন জানান এবং এর শুনানি করেন।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন এক তরুণী। এসময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র স্বামীকে বেঁধে মারধর করে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী সেদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয় ছয় জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো− এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-

এমসি কলেজে ধর্ষণ: দায় স্বীকার করেছে সাইফুর-অর্জুন-রবিউল

এমসি কলেজে ধর্ষণ: ৬ আসামির ডিএনএ সংগ্রহ

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে ৩ আসামি

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: প্রধান আসামি সাইফুর গ্রেফতার

গ্রেফতার এড়াতে দাড়ি কেটে ফেলে সাইফুর, ভারতে পালাতে চেয়েছিল অর্জুন

প্রশ্নবিদ্ধ এমসি কলেজের তদন্ত কমিটি, বহাল তবিয়তে হোস্টেল সুপার

আমরা কোনও অপরাধ করি নাই, ঘটিয়েছে ওরা তিন জন: আদালতে সাইফুর ও অর্জুন

এমসি কলেজে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই: তদন্ত কমিটি

চুল-দাড়ি কেটেও পার পেলো না ধর্ষণে অভিযুক্ত তারেক!

প্রাইভেট কারেই ধর্ষণ করা হয় ওই গৃহবধূকে 

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের দুই নিরাপত্তাকর্মী বরখাস্ত 

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ কর্মীদের শাস্তি চায় আ.লীগ

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ, ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আটকে রাখা দম্পতিকে উদ্ধার করলো পুলিশ

কলেজ বন্ধ, তারপরও শিক্ষার্থী ছিল এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে