X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থমন্ত্রীর সম্পদ পৌনে ২ কোটি টাকারও কম

শফিকুল ইসলাম
২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ২০:৫০আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:৩২

আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি টাকারও কম। এর পরিমাণ মাত্র  ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। গতবছর এ সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গত এক বছরে অর্থমন্ত্রীর ৪ লাখ টাকার সম্পদ বেড়েছে। অর্থমন্ত্রীর নিজস্ব সম্পদের মধ্যে জায়গা জমি, সোনা গহনাও রয়েছে। বুধবার ২০১৫-১৬ করবর্ষের আয়কর বিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন অনলাইনে কর অঞ্চল-৮-এ চলতি বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন তিনি।  
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৫-১৬ করবর্ষে মোট এক লাখ ১৭ হাজার ৫৩৩ টাকা কর দিয়েছেন। এর মধ্যে রিফান্ড পেয়েছেন ৬১ হাজার ৬৬৩ টাকা। বাকি ইনকাম ট্যাক্স বাবদ ৫৫ হাজার ৮৭০ টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি।
এক কোটি ৭৪ লাখ টাকার সম্পদ থাকার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছর এটি ছিল এক কোটি ৭০ লাখ টাকার মতো। এর মধ্যে এ বছরের আয় ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬৭ টাকা। করযোগ্য আয় ১০ লাখ ১৩ হাজার ৭২২ টাকা, যা গতবছর ছিল সাত লাখ টাকার কাছাকাছি।

১৯৫৫ সালে প্রথম এবং ১৯৬০ সালে দ্বিতীয়বার আয়কর দেওয়ার পর কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় সেখানেই কর দেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরপর ১৯৯৫ সাল থেকে নিয়মিত দেশে আয়কর দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া  মুহিতের বর্তমান বয়স ৮২ বছর। এত বছরের বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী মুহিত ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগদানের পর তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার, পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব্ পালন করেন।

বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে মুহিত পরিকল্পনা সচিব এবং ১৯৭৭ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগে সচিব পদে নিযুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আএমএফ), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় তিনি একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। ১৯৮১ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন মুহিত। পরে তিনি অর্থনীতি ও উন্নয়ন পরামর্শক হিসেবে ফোর্ড ফাউন্ডেশন ও ইফাদে কাজ শুরু করেন। ১৯৮২ সালের মার্চ মাস থেকে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে উড্রো উইলসন স্কুলে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন।

মুহিত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত একই দায়িত্ব পালন করছেন।

/এসআই/এমএনএইচ/  

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন