গত এক বছরে প্রতি কেজি দেশি শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ ১৭০ টাকা কেজি দরের শুকনা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় দুই গুণ।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দেশি শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। গত এক বছরে প্রতি কেজিতে শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা। টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসে এই পণ্যের প্রতি কেজির দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে শুকনো মরিচের প্রতি কেজির দাম বেড়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ।
এছাড়া গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারসহ মুরগির দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে চার শতাংশের বেশি। সেই সঙ্গে অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে কাঁচা মরিচের দাম। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর কাঁচা মরিচের কেজি তো ছুঁয়েছে আড়াইশ’ টাকা।
ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছেন কেজি প্রতি ১৬০-১৬৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা। আর প্রতি কেজি পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০-২৮০ টাকা।
এদিকে ঈদের আগে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া কাঁচ মরিচের দাম নতুন করে আরও বেড়েছে। এখন এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনতে ক্রেতাদের ৬০-৬৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে এক পোয়া কাঁচা মরিচের দাম ৫০ টাকা ছিল।
কাঁচা মরিচের দামের বিষয়ে কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে মরিচের। যার প্রভাব দাম বেশি দেখা যাচ্ছে।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৪০ টাকা। গাজরের দাম কিছুটা কমলেও পাকা টমেটো কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বরবটি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শসার কেজি গত সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০-৭০ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে কেজি ২০-২৫ টাকা, আর পটল ২০-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
করলা, কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা সবজি ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কচুর লতি ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজিও ৪০-৫০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।
এদিকে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকায়। ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি তেলাপিয়া, পাঙাশ। শিং মাছের কেজি ৩০০-৪৬০ টাকা। শল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকায়। কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২০০-২৫০ টাকা।
পাবদা মাছের কেজি ৩০০-৪৫০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭০০-৮০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা।
