বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার দিনে দিনে বড় হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ খাতে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ তেমন দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যুক্তরাজ্যকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার সারাহ কুক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লৌহ আকরিক বা লোহার খনির উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য, মানসম্মত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পরিষ্কার জ্বালানি থেকে উৎোদন করার পরিকল্পনা রয়েছে। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রযুক্তির অবাধ বিচরণ আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সহযোগিতা করতে পারে।’
বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে ব্যক্ত করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি বাড়ানার উদ্যোগ প্রসংশনীয়। ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়েও আলোচনা হয়। উইন্ড ল্যাব, অফশোর উইন্ড গাইড লাইন, কার্বন প্রাইজিং ও ট্রেডিংয়ের ওপর সক্ষমতা বৃদ্ধি, কৃষকবান্ধব মডেলে সোলার ইরিগেশন পাম্প পাইলটিং করার আগ্রহ প্রকাশ করে ‘স্রেডা’র সঙ্গে যুক্তরাজ্য কাজ করতে চায়।’
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবস্থা, বহির্বিশ্বের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ, গভির সমুদ্রে গ্যাস-তেল অনুসন্ধান, অফশো’র বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, নবায়ণযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ, সোলার ইরিগেশন পাম্প, সোলার মিনি গ্রিড, বিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুতায়নে সামাজিক পরিবর্তন, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা, সঞ্চালন লাইন ও বেসরকারিকরণ, লাইফ লাইন গ্রাহক, এনার্জি ট্রান্সমিশন,নেট মিটারিং সিস্টেম, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, এনার্জি মিক্স ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। এ সময় হাইকমিশনার প্রতিমন্ত্রীকে কপ-২৮ এ অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল উপস্থিত ছিলেন।