X
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজস্ব সংস্কারের শুরুতেই হোঁচট, বাড়ছে অনিশ্চয়তা

গোলাম মওলা
১৭ মে ২০২৫, ২৩:৫৯আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, ২৩:৫৯

বিশ্বব্যাংকের শর্ত পূরণ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের কিস্তি ছাড় পেতে সরকার সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে জারি করা হয়েছে নতুন একটি অধ্যাদেশ, যার আওতায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে দুটি পৃথক বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে—‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’।

বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ শর্ত পূরণ করতে গত সোমবার (১২ মে)  গভীর রাতে জাতীয় রাজস্ব বিভাগ (এনবিআর) বিলুপ্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। বাজেট সহায়তার ছয় হাজার কোটি টাকা ঋণ নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। পাঁচ মাস আগে বিশ্বব্যাংক সরকারকে ৯টি শর্ত দিয়েছিল। আটটি এর আগে পূরণ করা হয়েছে।  সরকার এটিকে বলছে “টেকসই রাজস্ব সংস্কার”।

সরকারের দাবি, এই সংস্কারের মাধ্যমে কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, কর প্রশাসনে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। নীতিনির্ধারক মহলে এই উদ্যোগকে আধুনিক ও কাঠামোগত সংস্কার হিসেবে স্বাগত জানানো হলেও কর প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।

এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত তিন দিন ধরে সারা দেশে ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচি পালন করছেন। সর্বশেষ শনিবার (১৭ মে) আরও একদিন কর্মসূচি বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, বেনাপোল, মোংলা, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা ও বগুড়ার কাস্টম হাউস, কর ও ভ্যাট কার্যালয়গুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এতে দেশের রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে ব্যাপক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

সরকারের সংস্কারের এই উদ্যোগ এখন একদিকে যেমন কাঠামোগত উন্নয়নের সম্ভাবনা তৈরি করেছে, অপরদিকে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের অসন্তোষ তা বাস্তবায়নের পথে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

সংস্কারের পেছনের প্রেক্ষাপট

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন, বর্তমানে যা মাত্র ৭.৪ শতাংশ। এই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন আলাদা করার সুপারিশ করে আসছিল। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যুক্তি দেয়— একই প্রতিষ্ঠানে নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের সমন্বয় করা স্বচ্ছতা ও দক্ষতার পথে বড় বাধা। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এনবিআর বিভক্তির প্রস্তাব এসেছে। রাজস্ব প্রশাসন পুনর্গঠনের ধারণাটি প্রথম আসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে, ১৯৯৩ সালে। এরপর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিশ্ব ব্যাংকও একই ধরনের সুপারিশ করে। এমনকি ২০২২ সালে আইএমএফ-এর সঙ্গে সই হওয়া ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির আওতায় এই সংস্কার ‘একটি পূর্বশর্ত’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অপরদিকে রাজস্ব ঘাটতির কারণে সরকার উন্নয়ন ব্যয় ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে পারছে না। সরকারি ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘একই প্রতিষ্ঠানে নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের একত্রিতা স্বার্থের সংঘাত তৈরি করে এবং দক্ষতা ও স্বচ্ছতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সে কারণেই প্রায় ৫০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এনবিআর ভেঙে দুটি বিভাগ গঠন করা হচ্ছে।’

সরকারের বক্তব্য

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত হলেও রাজস্ব আদায়ে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৩ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনা করেই এনবিআর বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ কারণে রাজস্ব আদায়ে কোনও প্রভাব পড়বে না।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে ফেলা হচ্ছে কেন তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকার। একইদিন (মঙ্গলবার) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমও একই পোস্ট দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বড় ধরনের কাঠামোগত সংস্কার ঘোষণা করেছে।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দিয়ে এর পরিবর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি পৃথক সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে— রেভিনিউ পলিসি ডিভিশন (রাজস্ব নীতিমালা বিভাগ) এবং রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন (রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ)। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো— কর নীতিমালা প্রণয়ন এবং কর প্রশাসনের কাজ আলাদা করা, যাতে দক্ষতা বাড়ে, স্বার্থের সংঘাত কমে এবং দেশের করের আওতা বিস্তৃত হয়।

মাঠপর্যায়ে প্রতিক্রিয়া

এই কাঠামোগত পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজস্ব প্রশাসনে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ ও কর্মসূচি। এনবিআর ও এর আওতাধীন কর, ভ্যাট ও কাস্টমস দফতরের কর্মরত কর্মকর্তারা গত কয়েকদিন ধরে ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচি পালন করছেন। ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ জানিয়েছে, রবিবারও (১৮ মে) সারা দেশে আরও বিস্তৃতভাবে এই কর্মসূচি পালিত হবে। তাদের এই কর্মসূচির ফলে ঢাকাসহ দেশের প্রধান বন্দর ও কর অঞ্চলে রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কাস্টম হাউসে পণ্য খালাসে বিলম্ব হচ্ছে, কর যাচাই, ভ্যাট প্রসেসিং থেমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানায়, এর ফলে আমদানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ছে।

আন্দোলনের পরিণাম: রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির আশঙ্কা

বর্তমানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ প্রান্তে রয়েছে সরকার। এমন সময় রাজস্ব আদায়ের মূল সময়ে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি কর্মসূচির ফলে আমদানি পর্যায়ের মূল্যায়ন, শুল্ক আদায়, ভ্যাট প্রসেসিং ও আয়কর যাচাইয়ের মতো কার্যক্রম থেমে আছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব সংগ্রহ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, কাস্টম হাউসে পণ্য খালাস বিলম্বিত হওয়ায় আমদানি কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে পণ্য সরবরাহ ও মূল্যস্তরে।

নতুন বাজেটের আগে রাজস্ব ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা

আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবে সরকার। এ সময়ে রাজস্ব প্রশাসনে অচলাবস্থা বজায় থাকলে নতুন বাজেটের আকার, খাতভিত্তিক বরাদ্দ ও ব্যয় নির্বাহের পরিকল্পনাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত এবং মাঠপর্যায়ে চরম অসন্তোষ বাজেট প্রস্তুতিপর্বে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

একজন শীর্ষ কর কমিশনার নাম প্রকাশ না বলেন, ‘আমরা সংস্কারের বিপক্ষে নই। কিন্তু যেভাবে এনবিআরকে হঠাৎ বিলুপ্ত করা হলো, তা অগণতান্ত্রিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত। এতে রাজস্ব ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা ভেঙে পড়বে।’

আইএমএফের শর্ত বনাম বাস্তবতা

সরকারের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘আইএমএফের ঋণের  কিস্তি ছাড়ের জন্যই এই সংস্কার জরুরি ছিল।’ আইএমএফের ঋণের  কিস্তির শর্ত ছিল— ‘রাজস্ব নীতি ও প্রশাসনকে পৃথক করে দক্ষতা বাড়ানো এবং কর আদায়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।’ সরকার সেই অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করেছে। তবে অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োগে কোনও সংবেদনশীলতা বা বাস্তবতার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। এতে রাজস্ব প্রশাসনের স্থিতিশীলতা ও মনোবলে চরম ধাক্কা লাগতে পারে।

সমাধান না হলে রাজস্ব ও বাজেট দুইই হুমকিতে

এনবিআর বিলুপ্ত করে নতুন কাঠামো তৈরির সিদ্ধান্ত এখন সরকারের জন্য রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে আইএমএফের কিস্তি ছাড়ের চাপ, অপরদিকে রাজস্ব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রতিরোধ—এই দ্বৈত সংকটে রাজস্ব আদায় যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনই নতুন বাজেটও পড়ছে ঝুঁকিতে। পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না হলে শুধু অর্থনীতি নয়, শাসন ব্যবস্থার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতির বিশ্লেষকরা।

প্রশাসনিক সংকট, রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ

বিসিএস (কর) ক্যাডারের সদস্যরা তাদের অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান নির্বাহী কমিটিকে অবৈধ ও বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন। সংগঠনের প্রায় ২০ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। মাঠপর্যায়ে এই ভাঙন রাজস্ব প্রশাসনের ঐক্য ও সংগঠনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত এখন শুধু অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে আইএমএফের চাপ, অপরদিকে কর্মকর্তাদের প্রতিরোধ— এই দ্বৈত সংকট রাজস্ব আদায় ও বাজেট বাস্তবায়ন উভয়কে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

এনবিআর বিভক্তির পক্ষে যুক্তি ও সম্ভাব্য সুবিধা

এনবিআরকে ভেঙে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ গঠনের ফলে নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দুটি কাজ আলাদা হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নিজ নিজ দায়িত্বে বেশি মনোযোগ দিতে পারবে। এতে বাড়বে দায়বদ্ধতা, রাজস্ব ঘাটতির ক্ষেত্রে দায় কার, তা নির্ধারণ সহজ হবে।

এছাড়া, প্রশাসনিক বিভাজনের ফলে দুর্নীতি কমার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে, কারণ এটি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের একটি কাঠামো গড়ে তুলবে। একইসঙ্গে, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের দীর্ঘদিনের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন হওয়ায় আন্তর্জাতিক সহায়তা ও ঋণ পাওয়া সহজ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞ স্নেহাশীষ বড়ুয়ার মতে, নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়ন পৃথক হলে কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা বাড়ে। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটি এনবিআর ভাঙা নয়, বরং দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাঝে স্পষ্ট সীমারেখা টানা— যাতে নীতি বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।’

এনবিআর বিলুপ্তির প্রক্রিয়ায় উদ্বেগ টিআইবির

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি নতুন বিভাগ—রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা—গঠনের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

শনিবার (১৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, এই তড়িঘড়ি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে রাজস্ব ব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এতে নীতির স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বিষয়গুলো বিঘ্নিত হতে পারে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন তোলেন, ‘যে পরামর্শক কমিটি রাজস্ব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছিল, তাদের মতামত উপেক্ষা করে অধ্যাদেশ কেন? কার স্বার্থে?’ তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী, রাজস্ব ব্যবস্থার জন্য স্বাধীন ও প্রশাসনিক প্রভাবমুক্ত প্রতিষ্ঠান দরকার। অথচ বাংলাদেশে এই পরিবর্তনের ফলে দুর্নীতি ও স্বার্থের সংঘাতের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।’
টিআইবি অধ্যাদেশটি যথাযথভাবে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে, যাতে রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনার কাঠামো সত্যিকার অর্থেই কার্যকর ও স্বচ্ছ হয়।

উল্লেখ্য, এনবিআর সংস্কার প্রশ্নে সরকার একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে প্রয়োগের পদ্ধতি ও মাঠপর্যায়ের প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় না নিলে তা অর্থনীতির চেয়ে বড় শাসন ব্যবস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। এখন দেখার বিষয়— সরকার এই সংস্কার কতটা কার্যকরভাবে টিকিয়ে রাখতে পারে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কীভাবে সমঝোতায় পৌঁছায়।

/এপিএইচ/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
রাজস্ব ব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগের করায়ত্ত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে: টিআইবি
এনবিআরে রবিবারও কলম বিরতি, রাজস্ব প্রশাসনে অচলাবস্থা
কলমবিরতির দ্বিতীয় দিনে অচল আমদানি-বাণিজ্য, রাজস্ব খাতে স্থবিরতা
সর্বশেষ খবর
বিইউবিটিতে জাতীয় এআই অলিম্পিয়াড সম্পন্ন
বিইউবিটিতে জাতীয় এআই অলিম্পিয়াড সম্পন্ন
বিমানের চাকা খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে যা জানা গেলো
বিমানের চাকা খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে যা জানা গেলো
মাথা ন্যাড়া করে জুতার মালা পরিয়ে যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
মাথা ন্যাড়া করে জুতার মালা পরিয়ে যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
আ.লীগ নেতাসহ শতাধিক ব্যবসায়ীর এনসিপিতে যোগদান
আ.লীগ নেতাসহ শতাধিক ব্যবসায়ীর এনসিপিতে যোগদান
সর্বাধিক পঠিত
চট্টগ্রামে হচ্ছে একাধিক হাসপাতাল, পাল্টে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার চিত্র
চট্টগ্রামে হচ্ছে একাধিক হাসপাতাল, পাল্টে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার চিত্র
নগর ভবনে উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
নগর ভবনে উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষককে বরখাস্ত
উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষককে বরখাস্ত
ছাত্রলীগের ১৫ জন মিলে চার মিনিটের মিছিল, আটক তিন
ছাত্রলীগের ১৫ জন মিলে চার মিনিটের মিছিল, আটক তিন
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে কঠোর হলো ভারত
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে কঠোর হলো ভারত