বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ পরিষেবা গ্রাহকদের কাছে আরও সহজলভ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়বে, সেবার মান ও সেবা প্রদান তত উন্নত হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) গ্রাহক সন্তুষ্টি সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্যকালে তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল নিতে হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ অপরিহার্য। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার করতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পাওয়ার সেলের ব্যবস্থাপনায় ‘কাস্টমার সেটিসফেকশন সার্ভে উইথ রিকমান্ডেশন অব কোয়ালিটি পাওয়ার সাপ্লাই ইনক্লুডিং এসএআইডিআই/এসএআইএফআই’ শীর্ষক সমীক্ষা কার্যক্রমের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্টস অ্যান্ড সার্ভিস (মাইডাস) বাংলাদেশ।
১৫ হাজার ২৪৫ জন গ্রাহকের মধ্যে এই সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। যার মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ১৩ হাজার ৮৬২ (৯০ দশমিক ৯৩ ভাহ), শিল্প গ্রাহক ১৩৫ (শূন্য দশমিক ৮৯ ভাগ), বাণিজ্যিক গ্রাহক ১ হাজার ২২০ (৮ ভাগ) এবং সেচ গ্রাহক ২৮ জন (শূন্য দশমিক ১৮ ভাগ)। প্রাপ্ত বৈদ্যুতিক পরিষেবার ৯৩ দশমিক ৮১ ভাগ গ্রাহক সন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রাপ্ত পরিষেবার মান সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ৮৭ দশমিক ১৩ ভাগ এবং কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে পরিষেবা প্রাপ্তি নিয়ে ৯২ দশমিক ৯৭ ভাগ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কল সেন্টার বা হটলাইনের মাধ্যমে অভিযোগের সাড়া প্রদান সম্পর্কে ৮৯ দশমিক ০১ ভাগ গ্রাহক ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।
সমীক্ষায় গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে আধুনিক ও ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার করা, লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি, অনলাইন বিলিং সিস্টেম, প্রিপেইড মিটারের সংখ্যা বাড়ানো, দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকবল বাড়ানো, তদারকি সভা নিয়মিত করা, মেরামত কার্যক্রম সম্পর্কে গ্রাহকদের আগেই অবহিত করা ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনসহ দফতর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।