X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অনশনের সপ্তম দিন, সিদ্ধান্তে অনড় প্রশাসন

খুবি প্রতিনিধি
২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৫৭আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৫৭

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনে বসা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীর সপ্তম দিনের মতো অনশন চলছে আজ (২৫ জানুয়ারি)। অনশনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে দুই শিক্ষার্থীই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে শারীরিকভাবে কিছুটা সুস্থ বোধ করায় ইমামুল ইসলাম সোহান আজ সন্ধ্যা থেকে আবারও অনশনে যোগ দিয়েছেন। মোবারক ইসলাম নোমান এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার জায়গায় অনশন করছেন সহপাঠী মোজাহিদ। 

এদিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অনড় প্রশাসন। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে আবেদন না করলে শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় নিচ্ছে না প্রশাসন।

অনশন সমর্থনকারী শিক্ষার্থীবৃন্দ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিঃশর্তভাবে শাস্তি প্রত্যাহার না করা অবধি বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদ্বয় অনশন ভাঙবেন না। তাদের দাবি তাদের প্রতি প্রশাসন অন্যায় সিদ্ধান্ত  নিয়েছেন, তাই ক্ষমা প্রার্থনা করে পত্র তারা দেবেন না। প্রশাসন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর শরীফ হাসান লিমন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কেসিসি মেয়র অনশনরত শিক্ষার্থীদের নিকট গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেছেন। তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন শাস্তি প্রত্যাহারের বিষয়টি পরিপূর্ণ সহানুভূতির সাথে দেখবেন। অনশনরত শিক্ষার্থীদের উচিত এই সুযোগ নেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বোর্ডে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে, কমিটির বোর্ডেই আবার প্রত্যাহারের বিষয়টি আলোচিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় তো তার প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের বাইরে যেতে পারে না।'

এদিকে  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট অবৈধ বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অবৈধ সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া সব ধরনের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, 'খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ীই সিন্ডিকেট গঠিত হয়েছে, এখানে বিতর্কের কোনও সুযোগ নেই।' 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটকে অবৈধ বলে অভিযোগ করাকে তিনি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ২২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককেও বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল, একই ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী। 

সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল এ বিষয়ে বলেন, 'শোকজ নোটিশের জবাব দিতে আমাকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দেখতে চাইলেও তারা তা দেখাতে পারেনি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি ছাত্রদের দাবি যৌক্তিক। একজন শিক্ষক হিসেবে তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানানো আমার কর্তব্য।'

চাকরিচ্যুত তিন শিক্ষক উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!