X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

এক অদ্ভুত দেশ যুক্তরাষ্ট্র

আবদুল মান্নান
৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৫৫আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৫৫

আবদুল মান্নান নানা কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ মজার ও অদ্ভুত দেশ। সুযোগ পেলে সবাই যেতে চায় এই দেশে। আমিও চাই, যদিও নিজে পড়ালেখা করেছি এই দেশে। এখনও সুযোগ পেলে সময় কাটাতে ছুটে যেতে চাই এই দেশে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাতে। দেশটি নিজ দেশে তো বটেই, অন্য দেশেও নানা ধরনের কর্মকাণ্ড আর পেশার জন্য নিয়মিত খবর হয়। এই খবরের কোনোটি ভালো আবার কোনোটি মন্দ। এই সেই দেশ ঠিক এক বছর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বিদায়ী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা এই ফলাফল মানি না বলে দেশটির সংসদ ক্যাপিটাল হিল সদলবলে দখল করেছিল। অবশ্য তাদের তেমন দোষ দেওয়া যায় না, কারণ, ট্রাম্প আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি হেরে গেলে ফলাফল মেনে নেবেন না। এমন একটি কাণ্ড বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের অন্য কোনও দেশে এখন পর্যন্ত ঘটতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটছে তা কল্পনাও করা যায় না। গত শতকের শেষের দিকে দেশটি সারা বিশ্বে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল গণতন্ত্র রফতানি করার জন্য। এসব রফতানি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে সেসব দেশ যেখানে তেল বা অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ আছে। এর শিকার হয়ে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া প্রভৃতি দেশ ধ্বংস হয়েছে। শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যদি কোনও দেশের অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলেও বিপদ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে মনে হয়। এ বিষয়ে অন্য সময় আলোচনা করার ইচ্ছা আছে। যুক্তরাষ্ট্র এই করোনা মহামারিকালে বাংলাদেশকে টিকা দিয়ে সহায়তা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে আর একটি বড় পেশা হলো কোনও দেশ, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষে সেই দেশের সরকার বা কোনও সংস্থার কাছে দালালি করা, যার আবেদনময়ী নাম হচ্ছে লবিং বা দালালি করা। ওয়াশিংটন ডিসিতে এরকম দালালি সংস্থা বা লবিস্ট ফার্মের অনেক দফতর আছে। এসব ব্যবসার সঙ্গে সেই দেশের আইন প্রণয়ন সংস্থা বা কংগ্রেস বা সিনেটের অনেক সদস্যও জড়িত থাকেন। এই পেশা সেই দেশে সম্পূর্ণ বৈধ। এই দালালিতে কোনও ন্যায়নীতির বালাই নেই। যে যত ফি দিতে পারে তার জন্য তাদের দরজা সম্পূর্ণ উন্মুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে আটটি লবিস্ট ফার্মকে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফ্রন্টে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের কাছে নালিশ করার জন্য কয়েক কোটি ডলার ব্যয় করেছে বলে সরকারি দল অভিযোগ করেছে। বিষয়টি শুধু নালিশেই সীমাবদ্ধ থাকেনি।

দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন ও তাঁর সহকারী জাতীয় সংসদে দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপনা করে দেখিয়েছেন, কীভাবে কোন কোন দালাল প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সময়ে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে দেশের বিরুদ্ধে ওই দেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দালালি করার জন্য নিয়োগ দিয়েছে। তাঁরা এসব দলিল যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইট হতে কপি করে এনেছেন।

যে কেউ চাইলেই তা করতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সুন্দর ব্যবস্থা। তথ্যের প্রাপ্তি ওই দেশে অনেক সহজ।

সংসদ ও সংসদের বাইরে বিএনপি’র ও তাদের সমমনা ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সম্পর্কে যখন এই দেশবিরোধী অবস্থানের কথাবার্তায় গণমাধ্যম বেশ সক্রিয় হচ্ছে তখন একদিন বিএনপি’র এক শীর্ষ নেতা, যিনি রাজনীতিতে এসেছেন ছাত্রলীগের হাত ধরে, তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন বিএনপি এরকম কাজ করতেই পারে না। পরদিন বিএনপি’র দলীয় মহাসচিব গণমাধ্যমের সামনে সবাইকে কিছুটা অবাক করে দিয়ে জানিয়ে দিলেন, হ্যাঁ বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তবে তা করেছে দেশে ‘গণতন্ত্র উদ্ধার’ করার স্বার্থে  আর ‘গণতন্ত্র রক্ষা’ করার জন্য। দলের দুজন শীর্ষ নেতার একই বিষয়ে দু’রকমের কথা শুনে খোদ দলের নেতাকর্মীরাই বিভ্রান্ত। বিশ্বে এমন দেশ কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে সেই দেশেরই কোনও একটি রাজনৈতিক দল বিদেশে বসে নিজে দেশে নানা উপায়ে স্রেফ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লাগাতার ষড়যন্ত্র করে, যেমনটি করছে বিএনপি বা তাদের মিত্র জামায়াত। তার অবশ্য একটি বড় কারণও আছে।  ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শুধু তারা ক্ষমতায় ছিল না। আর জামায়াতের সমর্থন ছাড়া তাদের চলা অনেক সময় কঠিন। যদি তাদের স্বার্থ উদ্ধার করতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার প্রয়োজন হয় তখন জামায়াতের সহায়তা বড় প্রয়োজন। ২০০৬ সালে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে বিএনপি ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদি করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। মেরুদণ্ডহীন একজন বিচারপতিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে। একজন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর দুর্বার গণআন্দোলনের মুখে সেই পরিকল্পিত নির্বাচন ভেস্তে যায়। আসে এক এগারোর সরকার। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি’র ভরাডুবি হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তারা ক্ষমতার বাইরে। বর্তমানে তাদের যে রাজনীতি বিদ্যমান তাতে সামনের নির্বাচনেও তাদের ক্ষমতায় ফেরা তেমন একটা সহজ হবে না বলে মনে হয়। তবে তার জন্য আওয়ামী লীগকে অনেক কাজ করতে হবে। গোছাতে হবে ঘর।

ফিরে আসি লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে। দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে লবিস্ট নিয়োগ খারাপ কোনও বিষয় নয়। কিন্তু এই লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টা যখন দেশের বিরুদ্ধে করা হয় তখন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বিভিন্ন সময় কোনও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য লবিস্ট নিয়োগের অনেক উদাহরণ আছে। ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর টম হারকিন (ডেমোক্র্যাট) সেই দেশের কংগ্রেসে একটি বিল আনলেন, যাতে বলা হয়েছে যেসব দেশে শিশু শ্রম ব্যবহৃত হয় সেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনও পণ্য আমদানি করবে না। বিলটি পাস হলো। প্রমাদ গুনলো বাংলাদেশের উঠতি তৈরি পোশাক শিল্প। বিজিএমইএ এবং তৎকালীন বেগম খালেদা জিয়ার সরকার ওয়াশিংটনে লবিস্ট নিয়োগ করলো বিষয়টি নিয়ে তদবির (লবি) করার জন্য। সেই তদবির কোনও কাজে লাগেনি। বাংলাদেশে প্রায় দেড় লাখ অল্প বয়সী শ্রমিক বেকার হলো, যার মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ছিল তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত। ইউনিসেফের মতে, এদের একটি বিরাট সংখ্যক কর্মহীন হয়ে পতিতাবৃত্তি গ্রহণ করে। এটি ছিল সরকার ও বিজিএমইএ-র পক্ষ থেকে একটি ভালো উদ্যোগ। তখন বিএনপি’র এটি করার দায়িত্ব ছিল, যদিও তারা তাতে সফল হয়নি।

দেশের প্রতি বিএনপি’র আসল কর্তব্যবোধের ন্যক্কারজনক অভাব দেখা গেলো ২০১৩ সালে। তখন বিএনপি সংসদে বিরোধী দলের আসনে। বেগম জিয়া বিরোধীদলীয় নেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন টাইমসে বেগম খালেদা জিয়ার নামে একটি প্রবন্ধ ছাপা হলো, যার শিরোনাম ছিল ‘The thankless job of saving democracy in Bangladesh’ (বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষার বিফল প্রচেষ্টা)।

তিনি তার লেখায় যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হয় তার ওপর সেই দেশ যে শুল্কমুক্তি (জিএসপি’র অধীনে) দেয় তা প্রত্যাহার করার দাবি জানান। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। তিনি আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশকে কোনও আর্থিক সহায়তা না দেয়। তিনি অন্যান্য পশ্চিমা দেশের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে লিখেন ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে’ তারা যেন বাংলাদেশিদের তাদের দেশে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বন্ধ করতে বললেন বাংলাদেশকে দেয় সব ধরনের সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা। একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ বা ব্যক্তি দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে এমন কথা লিখতে পারেন বা বলতে পারেন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। সব মহল হতে এই লেখা নিয়ে যখন ধিক্কার উঠলো, যথারীতি বেগম খালেদা জিয়া এই লেখা তাঁর নয় বলে জানালেন। তাঁর দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক ওয়াশিংটন টাইমসের কার্যনির্বাহী সম্পাদক ডেভিড এন জেকসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি লেখাটি যে বেগম খালেদা জিয়ার তা নিশ্চিত করেন এবং আরও বলেন, লন্ডনভিত্তিক একজন আন্তর্জাতিক লবিস্ট মার্ক পারসি বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে লেখাটি তাদের কাছে প্রেরণ করেন। তিনি আরও জানান, এই লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর তারা নিয়মিত পারসির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। পারসি একটি ব্রিটিশ লবিস্ট ফার্ম বিটিপি অ্যাডভাইজার্সের পার্টনার। তাদের ব্যবসা দুনিয়াজুড়ে।

২৮ জুন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রফতানি বিষয়ক যেসব সুযোগ-সুবিধা পেতো তা বন্ধ করে দিলে বেগম খালেদা জিয়ার প্রবন্ধ ও বিষয়টি সংসদে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়লে বেগম খালেদা জিয়া লেখাটি তাঁর নয় বলে আবারও পুনরুক্তি করেন এবং বলেন, তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করতে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। এই লেখার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। সংসদে প্রস্তাব করা হয় বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্য বিচার হওয়া উচিত। এর একদিন পর বিএনপি’র শীর্ষ নেতা বেগম খালেদা জিয়ার একসময়ের আইন ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী (বর্তমানে প্রয়াত)  ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সংসদে স্বীকার করেন, ওয়াশিংটন টাইমস-এর প্রবন্ধটি বেগম খালেদা জিয়ারই লেখা। তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার এই প্রবন্ধ লেখা কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য হিতাকাঙ্ক্ষী দেশগুলো যেন বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র রক্ষা করতে’ এগিয়ে আসেন। সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, সম্প্রতি এই আটটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগের অর্থ কেমন করে কোথা থেকে এই লবিস্টদের দেওয়া হয়েছে তা তদন্ত করা হবে।

দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করা বিএনপি’র ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে থাকবে না। আরও নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত হবে। সঙ্গে থাকবে তাদের পুরনো ও নতুন মিত্ররা। ইতোমধ্যে তারা পাকিস্তানের ওপর ভর করেছে। এই বিষয়ে পরে আলোচনা করার ইচ্ছা রইলো। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, বিএনপি এত দীর্ঘ সময় পরেও একটি প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিক দল হতে পারলো না। তাদের রাজনীতি হচ্ছে শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক। তারা প্রয়োজনে যেকোনোভাবে ক্ষমতায় যেতে দেশ ও জাতির চরম শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলাতে কসুর করে না। অথচ যেকোনও দেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য একাধিক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল থাকাটা প্রয়োজন। দুঃখজনক হচ্ছে, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশে ও দেশের বাইরে একটি বিরাট অপশক্তি একজোট হয়ে দিনরাত পরিশ্রম করেছে কীভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়। তাদের কথা হচ্ছে ‘শয়তান’ও বাংলাদেশ শাসন করবে, তবু আওয়ামী লীগ নয়। আর ‘শয়তানে’র সংখ্যা তো বাংলাদেশে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।

লেখক: গবেষক ও বিশ্লেষক।

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
২০৪১ পর্যন্ত কর অব্যাহতি আদায় করতে চাই: মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম
বেসিস নির্বাচন২০৪১ পর্যন্ত কর অব্যাহতি আদায় করতে চাই: মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম
মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন দেড় শতাধিক বাংলাদেশি
মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন দেড় শতাধিক বাংলাদেশি
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেললাইনে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেললাইনে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ