X
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
২৬ বৈশাখ ১৪৩২

নীলফামারীর হাঁস প্রজনন খামারের বেহাল দশা

তৈয়ব আলী সরকার, নীলফামারী
১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৫৭আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১২:০৭






আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার, নীলফামারী ২০১৩ সালে নীলফামারী শহরের মেলারডাঙ্গায় ৮ বিঘা জমির ওপর ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হয় আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার। মা হাঁস থেকে উৎপাদিত ডিমের বাচ্চা ফুটানো ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে এটি গড়ে তোলা হয়। একসময় খামারটিতে সাড়ে ২৮ হাজার ডিম ফুটানো হতো। লোকবল ও সরকারি বরাদ্দ না থাকায় এখন মাত্র ৫০০টি ডিম ফুটানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবার সচল করা গেলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে খামারটি বড় অবদান রাখতে পারতো ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খামারে বিশাল আকৃতির সাতটি শেড রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ছয়টি শেডই পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। শেডে রাখা হয়েছে অপ্রয়োজনীয় মালপত্র। কয়েকটি শেডে বাণিজ্যমেলার ব্যানার- ফেস্টুন ও কাঠের টুকরো রাখা হয়েছে। খামার জুড়ে করা হয়েছে সবজি বাগান।
খামারের একাংশ হ্যাচারি অ্যাটেনডেন্ট নূর আলম জানান, ২০১৮ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ধস নামে খামারটিতে। দৈনিক সড়ে ২৮ হাজার ডিম ফুটানোর ক্ষমতা থাকলেও এখন মাত্র ৫০০টি ডিম ফুটানো হচ্ছে। খামারের অধিকাংশ শেড ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় এ অঞ্চলের খামারিদের চাহিদা অনুযায়ী বাচ্চা সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না।
খামারে বাচ্চা নিতে আসা সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের জেম চৌধুরী বলেন, ‘খামারটি এখন নামসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ সময় আমাদের বাচ্চা দিতে পারে না। এই অঞ্চলের পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে তেমন কোনও কাজে আসছে না এটি।’
একই উপজেলার হাঁস চাষি মশিউর রহমান বলেন, ‘সরকারি এই প্রতিষ্ঠানে লোকবল সংকট একটি বড় সমস্যা। তারপরও নেই কোনও বরাদ্দ। খামারটি সচল করা গেলে পুষ্টি চাহিদা পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারতো।’
খামারের একাংশ খামারের অফিস সহকারী গোলাম মোক্তাদী বলেন, ‘খামার চালাতে যা যা প্রয়োজন সবাই আছে, নেই শুধু সরকারি বরাদ্দ। শুরুতে ১১ জন স্টাফ দিয়ে খামারটি চলতো। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বেতন ভাতা বন্ধ হওয়ায় চারজন চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। এখন সাতজন দিয়ে কোনোরকমে চালানো হচ্ছে। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। শুধু চাকরি সরকারিকরণের আশায় তারা এখানে পড়ে আছেন।’
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ও আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. শ্যামল কুমার রায় বলেন, ‘খামারটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এটি সচল করা গেলে এই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। অল্প দামে বাচ্চা ক্রয় করে ছোট-বড় খামার করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন তারা। আশা করি, কৃষিবান্ধব সরকার খামারটি সচলে ব্যবস্থা নেবেন।’

 

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শাহবাগে মধ্যরাতেও উপচেপড়া ভিড়, চলছে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
শাহবাগে মধ্যরাতেও উপচেপড়া ভিড়, চলছে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কিলোমিটার যানজট
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কিলোমিটার যানজট
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নেতৃত্বে দুই শাহীন!
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নেতৃত্বে দুই শাহীন!
সর্বাধিক পঠিত
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
সাবেক শিবির নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
সাবেক শিবির নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
তিন শিক্ষক আর পাঁচ শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে সরকারি বিদ্যালয়
তিন শিক্ষক আর পাঁচ শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে সরকারি বিদ্যালয়
কলকাতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি মমতা সরকারের
কলকাতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি মমতা সরকারের