রাজশাহী মহানগরীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ড্যানিস গ্রুপ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ড্যানিস মিল্ক বা ড্যানিস গ্রুপের চাকরি মনে করে প্রার্থীরা ২০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফটের আবেদন করে পরীক্ষা দিতে এসে দেখেন এটি ড্যানিস ইলেকট্রনিকস নামে একটি চাকরির পরীক্ষা। বিষয়টি জানার পরেই পরীক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা এলাকায় শুক্রবার সকালে ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার পর চাকরি প্রত্যাশিরা প্রতারণার অভিযোগে পরিচালক এবং কর্মচারীদের আটকে রাখে।
চাকরিপ্রার্থীদের কয়েকজন জানান, ড্যানিস গ্রুপে নিয়োগ নামে গত ৯ নভেম্বর দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনের আহ্বান করা হয়েছিলো। বিজ্ঞাপনে পরিচালক, ড্যানিস গ্রুপ, রাজশাহী ঠিকানায় আবেদন করতে বলা হয়।
শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীর মাদার বখ্শ্ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষার পাঁচটি পদে মোট ১১০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের প্রত্যেকের পরীক্ষা একটি প্রশ্ন পত্রেই গ্রহণ করা হয়। আর ৭৫টি প্রশ্নে ২৫টি প্রশ্নেই ভুল ছিলো। পরীক্ষা কেন্দ্রে অনভিজ্ঞ পর্যবেক্ষক দেখে সন্দেহ জাগে পরীক্ষার্থীদের মনে। আবার প্রতি পদে একই প্রশ্ন হওয়ায় ক্ষোভ জানায় পরীক্ষার্থীরা।
লালমনিরহাট থেকে আসা পরীক্ষার্থী জাহেদুর রহমান জানান, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ মোট ২৩৫ টাকা দিয়ে ড্যানিশ গ্রুপ রাজশাহী শাখার পরিচালক বরাবর দরখাস্ত করতে হয়েছে। আমাদের কাছে ১০ টাকার ডাকটিকেটসহ ফেরত খাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোন চিঠি না দিয়ে মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়ে জানানো হয়েছে।
ড্যানিস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলোজি রাজশাহীর পরিচালক ওয়াজেদ আলী বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সাল থেকে নওগাঁ জেলার ৬টি ব্রাঞ্চে পরিচালিত হয়ে আসছে। ছয় মাস আগে এটির রাজশাহীতে শাখা খুলেছে। রাজশাহী শাখার জন্য কিছু জনবল নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়াজেদ আলী বলেন, দরখাস্ত আবেদনের সময় প্রত্যেককে মোবাইলে ফোনে জানানো হয়েছে যে, এটি ড্যানিস মিল্কের কোন পণ্য নয়। এটি ড্যানিস ইলেক্ট্রনিক পন্য। আমরা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য হোম ডেলিভারী দিয়ে থাকি। কিন্তু তারা ড্যানিস মিল্কের পণ্য ভেবেই দরখাস্ত আবেদন করেছে। এতে আমাদের করার কিছু নেই।
/আরএ/