ঈদকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের বিপনি বিতানগুলোতে বেচাকেনা বাড়তে শুরু করেছে। তবে এবার নারীদের পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান ইন্ডিয়ান ড্রেসের আদলের তৈরি নাইরা ড্রেস। আর এই ড্রেস তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ময়মনসিংহের দর্জি পাড়ার কারিগররা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আড়ং ঢং ফ্যাশন হাউজের কারখানার দর্জিরা সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নাইরা ড্রেস তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছুটির দিন শুক্রবারও তাদের বিশ্রাম নেই।
দর্জি জনি জানান, ‘ঈদকে সামনে রেখে নারীদের এবার নাইরা ড্রেস কেনায় ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আড়ং ঢং ফ্যাশন হাউজের কারখানায় কমপক্ষে ৫০ জন দর্জি সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নাইরা ড্রেস তৈরির কাজ করছে। স্বাভাবিক সময়ে সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কারিগররা কাজ করে থাকে। ঈদকে সামনে রেখে কাজের চাপ বেড়েছে। মধ্যরাত পর্যন্ত এখন কাজ করতে হচ্ছে।’
দর্জি চন্দন জানান, ‘এখানকার কারিগরদের প্রত্যেকের মাসিক বেতন ১০-২০ হাজার টাকার উপরে। তবে ঈদে বেশি কাজ করে বাড়তি টাকা আয় করার সুযোগ হয়েছে। এই টাকা জমিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াসহ সংসারের অন্যান্য খরচ করা হবে।’
দর্জি কমল জানান, ‘ঈদকে সামনে রেখে দর্জি পাড়ার সব কারিগররা জামা কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এবার নাইরা ড্রেসের দিকেই নারীরা বেশি ঝুঁকছে। কটন, এন্ডি কটন ও সিল্কের মধ্যে নাইরা ড্রেস তৈরির কাজ চলছে।’
আড়ং ঢং ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী নারী উদ্যোক্তা সাবিহা জাহিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার নাইরা ড্রেস নারীদের সবচেয়ে বেশি পছন্দের। তাদের পছন্দের কথা বিবেচনায় রেখে রাজশাহী মাধবদী থেকে কটন, এন্ডি কটন ও সিল্কের কাপড় এনে কারিগর দিয়ে নাইরা ড্রেস তৈরি করছি। অনেক ক্রেতা শোরুমে এসে নাইরা ড্রেস পছন্দ করে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। দিনরাত ড্রেস তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিরা।’