কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুরে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে বোরকা পরে অংশ নেওয়া তিন জনের একজন রয়েছেন। বুধবার (১০ মে) র্যাব-১১ কুমিল্লার উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, মঙ্গলবার (৯ মে) বিকালে ও রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
যেসব বোরকা পরে জামালকে হত্যা সেগুলো উদ্ধার
গ্রেফতার দুজন হলো– হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া বোরকা পরিহিত দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু (৩১) এবং সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম মাস্টার (৩৩)।
দেলোয়ার দাউদকান্দি থানার চর চারুয়া এলাকার জাহেদ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলাসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। সাহিদুল তিতাসের গাজীপুর এলাকা থেকে এই হত্যাকাণ্ডের আসামিদের দেশের ভেতরে ও বাইরে পালানোর পথ তৈরি করে। সে তিতাস বড় গাজীপুর এলাকার ফজলুল হকের ছেলে।
র্যাব কর্মকর্তা সাকিব জানান, গ্রেফতার দেলোয়ার ও সাহিদুল জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে।
এর আগে, ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে হত্যা করা হয় তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে। তিন জন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি তাকে গুলি করে হত্যা করে। জামাল তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিতাস উপজেলায় বাড়ি হলেও তিনি ব্যবসা করতেন পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারে। বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় দাউদকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন জামালের স্ত্রী পপি আক্তার। ২ মে রাতে মামলাটি করা হয়। মামলায় নয় জনকে এজাহারনামীয় এবং সাত-আট জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।