নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কে বাসের চাপায় সিএনজি অটোরিকশার চালক নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাসটিতে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করেন।
শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওই সড়কের বারকোট পোলের গোড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মানিক (৩৫)। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাদুর ইউনিয়নের হানুবিশ গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে রামগঞ্জ থেকে সোনাইমুড়ীর উদ্দেশে জননী প্লাস নামে একটি বাস ছেড়ে আসে। বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশাটিকে সামনে থেকে চাপা দিয়ে অনেকদূর নিয়ে যায়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে চালক মানিক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অটোরিকশাটিতে আর কোনও যাত্রী ছিল না।
পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে বাসটি আটক করে। তবে বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়। পরে উত্তেজিত জনতা যাত্রীদের দ্রুত নামিয়ে দিয়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তারা চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের ওই স্থানে অবস্থান নিয়ে সড়কটি অবরোধ করে রাখে। দীর্ঘ একঘণ্টা চেষ্টা করে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জিয়া ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমানে সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’