আমার স্বামী মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় বিজ্ঞাপন আর্টের দোকানে কাজ করতেন। রাতে তার (রাব্বি) এক বন্ধু ফোন করে জানান যে তিনি রোড এক্সিডেন্ট করেছেন। আমাদের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন আমার স্বামী। আমরা শাশুড়ি ও সন্তানকে নিয়ে মোহাম্মদপুর কাটাসুর ২ নম্বর গলিতে ভাড়া বাসায় থাকি। স্বামীকে হারিয়েছি, এখন আমরা কীভাবে কী করবো বুঝতে পারছি না।
শুক্রবার (১৭ মে) গণমাধ্যমকে কেঁদে কেঁদে এভাবে কথাগুলো বলেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ফজলে রাব্বির স্ত্রী নীলিমা বেগম।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর কলেজ গেট এলাকায় গণবভনের সামনে ফজলে রাব্বিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় একটি হায়েস গাড়ি। পরে গাড়িটি পুলিশের গাড়িকেও ধাক্কা দেয়। আসাদ গেটের মোড় থেকে গাড়িচালক আল আমিন তালুকদারকে গাড়িসহ আটক করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।
এদিকে পুলিশ পথচারী রাব্বিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আগারগাঁওয়ে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার (১৭ মে) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাব্বি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত রাব্বির স্ত্রী নীলিমা বেগম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদ আলী বলেন, ‘পিকার্ট গার্মেন্টস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাদা রঙের হায়েস গাড়িটি চালাচ্ছিল আল আমিন তালুকদার নামে এক ব্যক্তি। সে প্রাধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে একটি এক পথচারীকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালানোর সময় আসাদ গেটে একটি পুলিশের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। তাকে আটক করার পর জানা যায় সে ওই পথচারীকে চাপা দিয়েছে।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা গেছে রক্তক্ষরণের কারণে রাব্বির মৃত্যু হতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। গাড়িচালককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।