যশোরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত মোহাম্মদ রাকিব (২৫) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, রাকিবের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
মোহাম্মদ রাকিব যশোর সদরের রূপদিয়া এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাবকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। হামলায় রাকিবসহ কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হন। রাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করেন। আহত অপর চার জনকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত চার জন হলেন– কচুয়া ইউনিয়ন যুবলীগকর্মী মোহাম্মদ আলী ক্লে, ইস্তাক আহমেদ অপু, শহিদুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইমরান আলী।
আহত ইমরান আলী জানান, শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাবা কাজী শাহেদ আহমেদ স্মরণে কচুয়ায় শোকসভা করা হয়। এ কারণে চেয়ারম্যানপক্ষ তাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। সে কারণে তারা হামলা করে।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা নিমতলী টেকেরহাট বাজারে দোকানে বসেছিলাম। ওই সময় চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাবকের ভাইপো হাফিজ ধাবক, সামাদ ধাবক, মুস্তাক ধাবক, আজিজ ধাবক, মফিজ ধাবক ও চেয়ারম্যানের ভাগনে ইসমাইল গাজী লাঠি, শাবল, চাপাতিসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাকিবের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান।’
কোতয়ালি থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাকিব নামে আহত ছাত্রলীগকর্মী মারা গেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।’