কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় পাহাড়ি এলাকা থেকে মাহমুদুল হক (২৮) নামে এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। রবিবার অপহৃত যুবককের পরিবারের কাছে মুক্তিপণে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। শনিবার সকালে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া পাহাড়ে কঞ্চি কাটতে গিয়ে ওই যুবক অপহরণের শিকার হন।
মাহমুদুল হক উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উল্লাহ জানান, তার এলাকার যুবক মাহমুদুল হক পাহাড়ে কঞ্চি সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন। এখন পর্যন্ত তাকে ফেরত দেয়নি অপহরণকারীরা। তারা যুবকের পরিবারের কাছে মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে আসছে।'
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরই পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।'
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, ‘এক দিনমজুর পাহাড়ে কঞ্চি সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন। এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি অস্ত্রধারী ডাকাত দল অপহরণ-মুক্তিপণ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে এখানকার বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, গত নয় মাসে টেকনাফের পাহাড়ে ৯২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪২ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক ও ৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা। সর্বশেষ গত ২৬ এপ্রিল নয়াপাড়া ক্যাম্পের তিন শিশু অপহরণের শিকার হয়। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসে। এ ছাড়া গত ৩ মার্চ দুই শিশুকে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় অহরণকারীরা।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় ক্ষেত পাহারায় থাকা চার কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরেন। ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। পরে তারাও ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন।