রাঙামাটি-চট্টগ্রাাম সড়কে গাছবোঝাই ট্রাকে আবারও গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ট্রাকচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় রাঙামাটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের দেপ্পাছড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় ঘণ্টাখানেক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, রাঙামাটি থেকে গাছ বোঝাই করে ঢাকা যাওয়ার পথে পাহাড় থেকে ট্রাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এতে চালক পায়ে গুলি লেগে আহত হন। চাকায় গুলি লাগায় ট্রাকটির সামনের চাকা ফেটে যায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চারটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে কী কারণে এই হামলা তা বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের ধারণা চাঁদা আদায়ের জন্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলো এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। একাধিকবার এমন সন্ত্রাসী হামলার কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে।
ট্রাকে থাকা জাকির হোসেন বলেন, ‘গাছ বোঝাই করে রাঙামাটি থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে দেপ্পাছড়ি এলাকায় আসলে পাহাড় থেকে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পাই। এ সময় পাশের সিটে থাকা চালকের পায়ে গুলি লাগে। পাহাড় থেকে কারা কী করণে গুলি করেছে সেই বিষয়টি আমরা জানি না।’
রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. বখতিয়ার হোসেন মুরাদ জানান, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। এভাবে ঘটনা ঘটতে থাকলে ব্যবসা করা কঠিন হবে। তবে কারা কী কারণে ঘটনা ঘটিয়েছে সেই বিষয়টি আমরা নিশ্চিত না। আশা করছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত অপরাধীদের আটক করতে পারবে।’
রাঙামাটি কোতয়ালি থানার ওসি মো. আরিফুল আমিন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ সময় আহত অবস্থায় চালককে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাড়িতে ৪-৫টি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে কাজ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি একই এলাকায় চাঁদার দাবিতে গাছের গাড়িতে ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।