প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজ আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কম্পিউটার, স্যাটেলাইট, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আপনারা জানেন, বিশ্বব্যাংক একটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল দুর্নীতির। আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি। নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসিনি। এসেছি বাংলার মানুষের ভাগ্য গড়তে।’
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকালে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনি জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের উন্নয়নে সরকারের অবদানের কথা উল্লেখ করে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮-এর নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আট হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার দেশের মানুষকে সেবা দিচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পতিত জমি ফেলে না রাখার আহ্বান জানিয়ে সবার উদ্দেশে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। আপনাদের কাছে আহ্বান, কারও এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যার যেখানে যতটুকু জমি আছে, যে যা পারেন উৎপাদন করেন। যদি জলাভূমি-পুকুর থাকে মাছ উৎপাদন করেন। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালন করেন। আপনিও লাভবান হবেন, দেশও লাভবান হবে।’
বাধা উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক যখন অভিযোগ এনেছিল, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। তারা প্রমাণ করতে পারেনি। আমি বলেছিলাম, আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো। অনেকে বিশ্বাস করতে পারেনি। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। আমি কখনও ভুলে যাই না, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে গিয়েছিলেন। এই জাতি কখনও কারও কাছে মাথা নত করবে না। আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে দিয়েছি।’