পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬৯ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র মাত্র ৪৫ জন চিকিৎসক। এতে জেলার লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত এবং মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কোনও কোনও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র একজন-দুজন চিকিৎসক দিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসক সংকট দূর করাসহ ৯ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ‘পঞ্চগড় স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম’। এসব দাবিতে সংগঠনটি মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি পালন করেন।
দুপুরের পরে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী ও সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। এ সময় তারা অনশনকারীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
অনশনকারীরা বৈষম্য দূর করে শূন্য পদগুলোতে চিকিৎসক পদায়ন করে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নির্মাণ হয়ে পড়ে থাকা আড়াইশ শয্যা ভবন চালুসহ ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েক শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অনশনে অংশ নেন। তারা বলেন, ‘যেকোনও রোগের রোগীকে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে রোগী নিয়ে গেলেই তাদের রেফারড করা হয়। চিকিৎসক না থাকায় রাত দুপুরে রোগী নিয়ে ছুটতে হয় রংপুর দিনাজপুর কিংবা ঢাকায়। পথেই মৃত্যু হয় অনেক রোগীর।’
অনশন কর্মসূচিতে সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব সরকার, উপ-সমন্বয়ক ওয়াসিম আকরাম, সহ-সমন্বয়ক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, মানিক খান, মুরাদ হোসেন, গণধিকার পরিষদের নেতা মাহফুজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের কাছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বৈষম্য দূর করে শূন্য পদগুলোতে চিকিৎসক পদায়নের দাবি জানান অনশনকারীরা। না হলে কঠোর অনশন কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দেন তারা। দাবির বিষয়ে একমত হয়ে বিষয়টি ওপর মহলে জানানো এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন।