বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি নির্বাচন এবং জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য। মাঝখান দিয়ে জামায়াতে ইসলামী এখন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন চাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার-চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য এত আন্দোলন হয়নি। আন্দোলন হয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য।’
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা, ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে নির্বাচন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা এমন একটি নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি, দাবি করছি, যে নির্বাচনে মানুষ হাসতে হাসতে ভোটকেন্দ্রে যাবে। যার ভোট সে দেবে, নিজের ভোট নিজে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। দিনের ভোট দিনে দেবে, রাতে দেবে না। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই সরকার গঠন করবে। আমরাও এমন ভোট দিতে চাই। জনগণের নির্বাচিত সরকার আসলে তারা সব কাজই করতে পারবে।
‘ইদানীং সরকার এবং কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভাবসাব দেখে মনে হয়, আগামী নির্বাচনে বিএনপি কত সিট পাবে, তা গুণে শেষ করা যাবে না, এ কারণে তারা নানারকম ষড়যন্ত্র করছে। সরকার যে এত সংস্কারের কথা বলছে, পার্লামেন্টে এই সংস্কার পাস করানোর ক্ষমতা আপনারও নেই, আমারও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন। আদালতের বারান্দায় ঘুরেছেন। বিএনপির ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ। আমরা কখনও ক্ষমতায় যাওয়ার নাম উচ্চারণ করিনি, তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করিনি, বিএনপির নাম উচ্চারণ করিনি। আমরা দেশকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বৈরাচারমুক্ত করতে চেয়েছি। আমরা বিভিন্নভাবে দলের সবাইকে ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে বলেছিলাম।’
মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যারা ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ স্বীকার করে না, তারাই রাষ্ট্রদ্রোহী। আপনারা যদি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে না চান, তাহলে জাতি কাউকে ছেড়ে দেবে না। শহীদ ও তাদের পরিবার জানে, নির্যাতিত মা-বোনরা জানেন– এই স্বাধীন বাংলাদেশ হওয়ার পেছনে ত্যাগের কথা।’