দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। এ কারণে শেষ সময়েও ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ঈদযাত্রায় শেষ দিনেও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে। তবে সাতটি বুথে টোল আদায়ের মাধ্যমে দ্রুত যানবাহন পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষরা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন।
গেলো ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু হয়ে ৩৬ হাজার ৯শ ২৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যা থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার দুইশ টাকা।
এদিকে, আজ রবিবার সকাল থেকেও দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলে করে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ নাড়ির টানে ছুটছেন এই মহাসড়ক হয়ে। তবে মহাসড়কের কোথাও যানজট বা ভোগান্তির চিত্র নেই বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
কুমিল্লা থেকে পদ্মাসেতুর টোল প্লাজায় আসা মোটরসাইকেলের যাত্রী মিজানুর রহমান সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পরিবারের টানে যেতে হচ্ছে দেশের বাড়ি সাতক্ষীরাতে। দীর্ঘদিন পর ঈদের লম্বা ছুটিতে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে। মোটরসাইকেল আসলে একটি ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন, এটি সত্যি। তারপরও গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করে পথ চলছি। বাসে অনলাইনে সিট বুকিং করতে পারিনি।’
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, গেলো ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু হয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যা থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার দুইশ টাকা। আর ২৫ থেকে ২৯ মার্চের হিসাবে এ পথে মোট এক লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে আর এসব গাড়ি থেকে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার সাতশ টাকা টোল আদায় করা হয়। প্রতি ঘণ্টায় সেতু হয়ে ১৫শ যানবাহন পার হয়েছে।