কোনও নোটিশ কিংবা সতর্কতা ছাড়া কুমিল্লা নগরে দিনব্যাপী গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দাদের প্রাত্যহিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে। সৃষ্টি হয় ভোগান্তি। হোটেল রেঁস্তোরাতেও দেখা দেয় খাবার সংকট। সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীতে এমন ঘটনা ঘটে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সূত্রে জানা গেছে, সকালে কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকার একটি গ্যাসলাইনের লিকেজ হয়। এর সংস্কার করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল)। এ সময় তারা গ্যাসলাইন পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়ে কাজটি করে। গ্যাসলাইন বন্ধের ফলে পুরো শহরের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই শহরের রাণীরবাজার, টমছম ব্রিজ, ঠাকুরপাড়া, অশোকতলা, ধর্মপুর, শাকতলা, নতুন চৌধুরী পাড়া, কান্দিরপাড়, নজরুল অ্যাভিনিউ, পুলিশ লাইনস, স্টেশন রোড, বাগিচাগাঁওসহ প্রায় পুরো শহরই গ্যাসবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
নগরীর ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা নাহিদা আক্তার বলেন, ‘সকাল থেকে গ্যাস ছিল না। সারাদিন একই অবস্থা ছিল। গ্যাস না থাকায় বাইরে থেকে খাবার এতে খেতে হয়েছে। কোনও নোটিশ ছাড়া গ্যাস বন্ধ করাটা একেবারেই উচিত নয়। এতে পুরো শহরবাসী ভোগান্তিতে পড়েন।’
ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আলীম বলেন, ‘গ্যাস বন্ধ করতে হলে আগে নোটিশ করতে হবে। এভাবে নোটিশ ছাড়া গ্যাসলাইন বন্ধ করার অধিকার কারও নেই। সারাদিন আশপাশের সব বাসার বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অপেক্ষা করতে করতে বিকালে ভাত রান্না হয়েছে। দুপুরে বাইরে থেকে খাবার এনে খেয়েছি আমরা।’
নাম প্রকাশ না করে একাধিক কর্মকর্তা জানান, টমছমব্রিজ এলাকায় একটি সংস্কার কাজের জন্য গ্যাস সংযোগ লিকেজ হয়। এ সময় কোনও নোটিশ না দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। হঠাৎ দুর্ঘটনা ঘটলেও নোটিশ দিয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা উচিত। কিন্তু এই বিষয়ে কাউকে কোনও নোটিশ না দিয়েই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ডিভিশন। যে কারণে ভোগান্তি আরও চরমে ওঠে।
বিজিডিসিএল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মর্তুজা রহমান খান বলেন, ‘বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঘটেছে। এটি দুর্ঘটনা। তাই নোটিশ দেওয়ার সুযোগ ছিল না। বিকালে লাইন ঠিক হয়েছে। এখন ঠিক আছে।’