দুর্যোগপূর্ণ এলাকার পরীক্ষাকেন্দ্র স্থানান্তরের দাবিতে বুধবার (৪ জুন) দুপুরে যশোর শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। একাধিকবার আশ্বাস দিয়েও কেন্দ্র স্থানান্তর না করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ পদক্ষেপ নেয়।
এ সময় বোর্ডের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, আগামী ২৬ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। সাতক্ষীরার শালিখা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ কিলোমিটার দূরে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিল। আজ বুধবার এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বোর্ডে এলে কর্মচারীরা তাদের প্রবেশে বাধা দেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের মধ্যে প্রথমে বিবাদ শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তা ধাক্কাধাক্কিতে রূপ নেয়।
শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধান না করেই বোর্ডের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘক্ষণ যশোর শিক্ষা বোর্ড ঘিরে রাখে। পরে অবশ্য উপযুক্ত আশ্বাস পেয়ে তারা চলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিন বলেন, ‘কেন্দ্রের বিষয়ে শিক্ষার্থী ও কলেজ প্রধানের সঙ্গে আগেই আলোচনা হয়েছিল। তখন বলা হয়, যেহেতু নতুন কেন্দ্র ৫-৬ কিলোমিটার দূরে, সে কারণে তাদের যাতায়াতের জন্যে যানবাহনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু কলেজের প্রধান হয়তো তাদের পরিবহনের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। সে কারণে তারা বোর্ডে আসে।’
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যাম্পাসে বাসের ব্যবস্থা করতে ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনে বোর্ডও এ ব্যাপারে সহায়তা করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে তাদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। এই আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা তাদের ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।
প্রসঙ্গত, এই কলেজ থেকে এ বছর ১৪০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।