পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে গ্রেফতার হওয়া মো. বায়েজিদ মৃধা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পটুয়াখালীতে থাকাকালে তিনি ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী মো. আশফাকুর রহমান বিপ্লবের অনুসারী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক নেতা।
বাইজিদ পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের তেলীখালী গ্রামের আলাউদ্দিন মৃধার ছেলে।
তার চাচা মো. ফোরকান মৃধা বলেন, বাইজিদ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহনের চাচাতো ভাই। সে মোহনের সঙ্গে বিএনপির বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে যেতো।
পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলা বায়েজিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহন বলেন, বায়েজিদ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লবের অনুসারী ছিল। বর্তমানে সে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এদিকে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল-হেলাল নয়ন বলেন, বায়েজিদ আগে পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। যখন বিপ্লব গাজী ভাই ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন তখন তাকে বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে দেখা যেতো। তবে সে অনেকদিন ধরে এলাকায় নেই। এখন ঢাকায় রাজনীতি করে কিনা তাও নিশ্চিত নই।
যন্ত্র দিয়ে নাট-বল্টু খোলে ওই যুবক
নয়ন আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সিনিয়র বড় ভাইয়ের সঙ্গে বায়েজিদ বিপ্লব ভাইয়ের মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিতো। তবে তার কোনও পদ ছিল না।
বদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, ওই (বায়েজিদের পরিবার) পরিবারের লোকজন যেহেতু বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, সেহেতু তার ছাত্রদল করাটা স্বাভাবিক।
বায়েজিদের বিচার দাবি করে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে একটি মহল অনেকদিন ধরে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। পদ্মা সেতুর স্ক্রু খোলার বিষয়টি তারই নমুনা। এদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হওয়া উচিত।