ভোলা সদরের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে পাওয়া নতুন কূপ ইলিশা-১ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। বাপেক্সের তত্ত্বাবধায়নে গ্যাস তোলার কাজ করছে রাশিয়ার তেল-গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম।
গত ৯ মার্চ ভোলা সদরের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মালেরহাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ নামের কূপ খনন শুরু করেছিল গ্যাজপ্রম। ২৪ এপ্রিল কূপের খননকাজ শেষ হয়। কূপে খননকাজ শুরুর দেড় মাসের মাথায় উত্তোলন শুরু হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এখন পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। মাটির তিন হাজার ৪৩৩ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি প্রায় চার কিলোমিটার বিস্তৃত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে।’
বাপেক্সের ধারণা, দৈনিক এই কূপে ২০-২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। এতে ১৮০-২০০ বিসিএফ ঘনফুট গ্যাসের মজুত আছে। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে আরও সময় লাগবে বলে জানালেন বাপেক্সের কর্মকর্তারা।
বাপেক্সের তথ্যমতে, ১৯৮৬ সালে ভোলায় একটি দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পেট্রোবাংলা ১৯৮৭ সালে তৃতীয় ধাপে আরেকটি ভূকম্পন জরিপ পরিচালনা করে। জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৪ সালে শাহবাজপুর-১ গ্যাসক্ষেত্রে খনন কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোট আটটি কূপ খনন করা হয়। ইলিশা-১ নিয়ে মোট নয়টি কূপে গ্যাস মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত হলো। এতে মজুতের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।