পটুয়াখালীর দুমকিতে চাঁদা দাবি, হামলা, বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে জেলা যুবদলের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী মো. বেল্লাল হোসেন বাদী হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
বিচারক ইসরাত জাহান মৌমি মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী আল আমিন হাওলাদার আদালতে মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বাদী ও আসামিদের বাড়ি দুমকী উপজেলার সাতানি বাজারে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও পটুয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার দুমকি উপজেলার সাতানি বাজারে একটি মসজিদ নির্মাণ করছেন। বেল্লাল ওই মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে জেলা যুবদল নেতা মিজানুর রহমান তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে আসছেন। টাকা না দেওয়ার জেরে বেল্লাল ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় মিজানুর রহমান ও তার লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে মিজানুর রহমান ও তার সহযোগী সাবু, সাইফুলসহ ১৫ থেকে ২০ জন বেল্লালের বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ সময় তারা তাদের মারধর করে এবং ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বেল্লাল আওয়ামী লীগের দোসর। জমি সংক্রান্ত ঘটনায় বেল্লালের সঙ্গে আমার কথা-কাটাকাটি হয়েছে। তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নাটক করছেন।’
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘এসআই আমিনুলকে ঘটনাস্থলে তদন্তে পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে বলা হলেও ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেছেন।’