বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ক্ষেত থেকে তরমুজ চুরি করতে বাধা দেওয়ায় এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (০৪ এপ্রিল) সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার রানীরহাটের দিয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষকের নাম আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার (৫৫)। তিনি ওই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে। বিকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের মেয়ে সাদিয়া বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দিয়ারচর এলাকায় বাড়ি সংলগ্ন কিছু জমিতে এ বছর তরমুজ চাষ করেন বাবা। বৃহস্পতিবার বিকালে একই এলাকার ফয়সাল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, হাসনাইন, মিরাজ, আনোয়ার হোসেনসহ ১০-১২ জনের একটি দল আমাদের ক্ষেত থেকে তরমুজ চুরি করে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বাবা। এ সময় বাবাকে মারধর করা হয়। এতে মাথা ফেটে যায় এবং শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান। আহত অবস্থায় তাকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আমার বাবা।’
উপজেলার চরামদ্দি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই এনামুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কৃষক কুদ্দুসের জমি থেকে দিনে-রাতে তরমুজ চুরি হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তরমুজ চুরি করতে আসা ব্যক্তিদের বাধা দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হলে অভিযুক্তরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করেন। গ্রামবাসী আহত কুদ্দুসকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে অভিযোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তার অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।’
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।’