X
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
২৭ বৈশাখ ১৪৩২

পার্বত্য শান্তিচুক্তির বেশিরভাগ ধারাই বাস্তবায়িত, পূর্ণ বাস্তবায়ন নিয়ে ভিন্ন মত

জসিম মজুমদার, খাগড়াছড়ি
০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৩১আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৪৪

পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২১ বছর

সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র (পিসিজেএসএস) এর চুক্তি হয়েছে ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭। চুক্তির শিরোনাম পার্বত্য চুক্তি থাকলেও জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে চুক্তিটি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি হিসেবেই পরিচিত। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২১ বছর পার হলো আজ (২ নভেম্বর)।

অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তির নব্বইভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে। তবে পিসিজেএসএসসহ বিভিন্ন পাহাড়ি নেতাদের দাবি ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন, জেলা পরিষদের হাতে পুলিশ বিভাগকে হস্তান্তর করা এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রথাগত অধিকারসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু ধারার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত পাহাড়িরা।

অন্যদিকে, বাঙালি নেতারা বলছেন, পার্বত্য চুক্তির যে ধারাগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি সেই ধারাগুলো সংবিধান সম্মত নয় এবং নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী।এসব ধারা সংবিধানের আলোকে সংশোধন করে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের নথিপত্র, পিসিজেএসএস এর বিভিন্ন প্রকাশনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়,কাপ্তাই বাঁধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় এক লাখ উপজাতিকে ক্ষতিপূরণ ও কল্যাণ সাধনের জন্য ১৯৬০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উপজাতীয় কল্যাণ সমিতি গঠিত হয়। উপজাতীয় কল্যাণ সমিতি তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ করার এক পর্যায়ে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে।

দেশ স্বাধীনের পর মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে পাহাড়ি নেতারা ১৯৭২ সালের ২৪ এপ্রিল ৪ দফা দাবি পেশ করেন।

চার দফা দাবি ছিল উপজাতীয়দের জন্য নিজস্ব সংসদ ও স্বায়ত্তশাসন, উপজাতীয়দের সেফ গার্ড হিসেবে ১৯০০ সালের শাসন বিধি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রাখা, উপজাতীয় নেতাদের পদপদবি প্রথাগত বিধি ও আইন অনুযায়ী সংরক্ষণ এবং পার্বত্য শাসন বিধি-১৯০০ অপরিবর্তিত রাখা ও পাহাড়ে বাঙালি পুনর্বাসন বন্ধের দাবি জানায়।

তৎকালীন সরকার পাহাড়ি নেতাদের এসব দাবি থেকে সরে এসে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পতাকা তলে আসার আহ্বান জানালে, পাহাড়ি নেতারা তা করতে অস্বীকার করেন এবং ১৯৭৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) আত্মপ্রকাশ করে। আত্মপ্রকাশের সঙ্গে এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তিবাহিনী গড়ে তোলে এবং প্রায় তিন দশক ধরে পাহাড়ে গেরিলা যুদ্ধ চলে। এসব গেরিলা যুদ্ধে শত শত সামরিক-বেসামরিক লোক মারা গেলেও এর সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, পরে খালেদা জিয়া এবং চূড়ান্তভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করার পর ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (মতান্তরে শান্তিচুক্তি) স্বাক্ষরিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তৎকালীন হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও শান্তি বাহিনীর পক্ষে বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার স্বাক্ষর করেন। ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ২১ বছরে চুক্তির অনেক ধারাই বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ধারা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কংজরী চৌধুরী ও কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের ২১ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সিংহভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। তাবে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কমিশন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। পাহাড়ি নেতারা আন্তরিক হলে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি দ্রুত হবে।

তারা আরও বলেন,‘এছাড়া ভারত থেকে আসা বা অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স রয়েছে। পূর্বে প্রস্তুত করা তালিকাটি যাচাই-বাছাই চলছে। তালিকায় অনেক জনের আসল নাম, ডাক নাম,একই নাম একাধিকবার, ভুয়া নাম আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর তালিকা চূড়ান্ত করে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে মতামত পাঠানো হবে।’

পাহাড়ে বসবাসকারীদের ও সব দলের নেতাদের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে চুক্তির পুনর্বাস্তবায়ন সম্ভব বলে দাবি করে তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত আইন, বিধি, রীতি ও বসবাসকারী সব লোকজনের অধিকার মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে বিধায় একটু সময় লাগছে। দীর্ঘ তিন দশকের সমস্যা তো আর দুই দশকে সমাধান করা সম্ভব নয়। ’

আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-এমএন লারমা গ্রুপের সভাপতি সুধাসিন্ধু খীসা বলেন,‘সরকার চুক্তির বেশ কিছু ধারা বাস্তবায়ন করেছে তা সত্য। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যার সমাধান, উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান, বাঙালিদের যত্রতত্র পুনর্বাসন বন্ধ, প্রশাসন-পুলিশ বাহিনী ও জেলা পরিষদের হাতে ন্যস্ত করা ছাড়া কখনও পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন,‘ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করা না হলে অদূর ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান সমস্যা আরও কঠিন হবে। তাই তিনি প্রপাগান্ডা না চালিয়ে সরকারকে পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে আন্তরিক হতে অনুরোধ জানান।’

অন্যদিকে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ এর জেলা প্রচার ও প্রকাশনা মুখপাত্র নিরন চাকমা জানান, বিগত ২১ বছরে প্রমাণিত হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তথা শাসকচক্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে চুক্তি করেছিল, শান্তি প্রতিষ্ঠা বা রাজনৈতিক সম্যা সমাধানের লক্ষ্য ছিল না। নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশে সরকারের তোষামোদকারীদের প্রদত্ত অঙ্গীকার লোক ঠকানোর ফন্দি ছাড়া আর কিছু নয়। স্পষ্টতই চুক্তিটি সরকারের অনুকূলে, তা সত্ত্বেও প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি, নানা উছিলায় সময় নষ্ট করছে।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘চুক্তি’ বাস্তবায়ন না করলেও সরকার তার অন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বসে নেই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে সরকার তার অন্য এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিয়োজিত। বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করিয়ে ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিগুলোর ওপর সাংবিধানিকভাবে বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণবিরোধী ১১ দফা নির্দেশনা জারির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে অঘোষিত সেনা শাসনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।

পার্বত্য নাগরিক কমিটির সভাপতি আলকাছ আল মামুন বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি সংবিধান বিরোধী এবং পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালিদের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী। সরকার চুক্তির প্রায় সব কিছুইতো বাস্তবায়ন করেছে। যে কয়েকটা বিষয় এখনও নিষ্পত্তি হয়নি, তা করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী এগুতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি টাস্কফোর্সের ৯ম সভায় ৮২ হাজার পাহাড়ি পরিবারকে শুধু আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হলো। তার ওপরে বলা হচ্ছে ১২, ২২২ পরিবার ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও ২১ হাজার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী পরিবার ভারত হতে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন করেছে। তাহলে সব মিলিয়ে ১,০৪,২২২ পরিবার পুনর্বাসনের তালিকায় আছে। এখন প্রশ্ন হলো এতো উদ্বাস্তু পরিবার এলো কোথা থেকে?  তাছাড়া সরকার ভারত থেকে আসা যেসব শরণার্থীদের ২০ দফা প্যাকেজের সুবিধা দিয়ে পুনর্বাসন করেছে, তাহলে তাদের নাম এখনও তালিকায় থাকে কিভাবে? হাজার হাজার বাঙালি উদ্বাস্তু পরিবার কেন তালিকায় স্থান পেলো না?

তিনি বলেন,পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে পাহাড়ি-বাঙালি সবার কথা মাথায় রেখে এগুতে হবে।’ ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য আগে ভূমি জরিপ করার দাবি জানান তিনি।

সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে আন্তরিক উল্লেখ করে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন,‘ধাপে ধাপে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হবে। চুক্তির শর্ত মতে ৭২ টি ধারার মধ্যে শতকরা ৯০ভাগ ধারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকিগুলোর আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কিছু প্রক্রিয়াধীন আছে। চুক্তির অংশ হিসেবে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদতে ন্যস্ত বিভাগগুলোর অধিকাংশ হস্তান্তর করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ৩৩টি বিভাগের মধ্যে ৩০টি বিভাগ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৩টি বিভাগ হস্তান্তরের জন্য দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়নেও প্রত্যেক নাগরিকের সকল মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতের রূপরেখা আছে। ফলে আমরা কাউকে বাস্তুহারা বা উদ্বাস্তু হিসেবে রাখবো না।’ পার্বত্য চট্রগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধ পরিকর বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দেড় যুগ পূর্তি উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। আগামী ২ ডিসেম্বর সকালে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। বিকেলে হবে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

 

/জেবি/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কোপানোর মামলায় জামিন না পেয়ে এবার ভাঙা হলো বাদীর হাত-পা
কোপানোর মামলায় জামিন না পেয়ে এবার ভাঙা হলো বাদীর হাত-পা
পাকিস্তানের হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নিহত
পাকিস্তানের হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নিহত
ভাঙ্গায় ট্রেন লাইনচ্যুত, দক্ষিণাঞ্চলে ১২ ঘণ্টা ধরে বন্ধ রেল চলাচল
ভাঙ্গায় ট্রেন লাইনচ্যুত, দক্ষিণাঞ্চলে ১২ ঘণ্টা ধরে বন্ধ রেল চলাচল
আইপিএল আয়োজনে আগ্রহী ইংল্যান্ড
আইপিএল আয়োজনে আগ্রহী ইংল্যান্ড
সর্বাধিক পঠিত
সাবেক শিবির নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
সাবেক শিবির নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
কলকাতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি মমতা সরকারের
কলকাতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি মমতা সরকারের
আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে বিরতি ঘোষণা, শাহবাগেই ঘুমিয়ে পড়েছেন হাসনাত
আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে বিরতি ঘোষণা, শাহবাগেই ঘুমিয়ে পড়েছেন হাসনাত
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ