নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে তিন দিনে ৫৯ মণ ইলিশ মাছ ধরেছেন ভোলার মনপুরা উপজেলার এক ট্রলারের জেলেরা। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটে নিয়ে যান তারা। এরপর মাছগুলো ১৩ লাখ তিন হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি কিনে নেয় মেঘনা ফিশিং এজেন্সি।
ট্রলারের মালিক উৎফল মাঝি বলেন, ‘১২ জন জেলে নিয়ে তিন দিন আগে ভোলার মনপুরা থেকে মাছ ধরতে সাগরে যাই। এ সময় বিভিন্ন সাইজের ৫৯ মণ ইলিশ পাওয়া গেছে। মাছগুলো চেয়ারম্যানঘাটে নিয়ে গেলে মেঘনা ফিশিংয়ে নিলামে ২২ হাজার ১০০ টাকা মণ দরে মোট ১৩ লাখ তিন হাজার ৯০০ টাকায় কিনে বিক্রি হয়।’
মেঘনা ফিশিং এজেন্সির মালিক হাবিব ভুঁইয়া বলেন, ‘মনপুরা উপজেলার উৎফল মাঝি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মাছগুলো হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটে নিয়ে আসতে বলি। এরপর নিলামে প্রতি মণ ২২ হাজার ১০০ টাকা দরে ১৩ লাখ তিন হাজার ৯০০ টাকায় কিনে নিই।’
হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, এখন সাগর ও নদীতে প্রচুর মাছ মিলছে। আগামী কিছু দিন ধরে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এর সুফল হিসেবে এখন সাগরে গিয়ে জেলেরা বেশি পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন।সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে ভবিষ্যতে জেলেদের জালে আরও বেশি বেশি ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়বে।’
তিনি জানান, আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। এর সুফল হিসেবে আগামীতে আরও বেশি বেশি মাছ পাবেন জেলেরা।