নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার অভিযোগে দুই জনকে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড ইনচার্জ (সিনিয়র স্টাফ নার্স) শাহিনুর বেগম ও স্টোরকিপার মোবারক হোসেন।
রবিবার (৩ সেপ্টম্বর) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিম ওই নার্স ও স্টোরকিপারকে শোকজ করেন। রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার পর যেন তাদের শারীরিক কোনও সমস্যা দেখা না দেয়, সে ব্যাপারে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রাজিয়া খাতুন ও গিয়াস কামাল বাবু নামের দুই রোগী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রবিবার সকালে তাদের স্যালাইন দেওয়া হয়। একপর্যায়ে রোগীর শরীরের একপাশ থেকে ব্যথা শুরু হয়। এতে রোগীর স্বজনরা পুশকৃত স্যালাইন চেক করতে গিয়ে তা মেয়াদোত্তীর্ণ দেখতে পান। পরে স্বজনরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভুঁইয়াকে জানালে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিমকে তদন্ত করে দেখার জন্য বলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করে ওয়ার্ড ইনচার্জ শাহিনুর বেগম ও স্টোরকিপার মোবারককে শোকজ করেন।
ভুক্তভোগী রোগীদের স্বজনরা জানান, খিঁচুনির সমস্যা নিয়ে রবিবার সকালে রাজিয়া খাতুনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেন দায়িত্বরত নার্স। একই দিন গিয়াস কামাল বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার পর তার শরীরের একপাশে ব্যথা শুরু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ (সিনিয়র স্টাফ নার্স) শাহিনুর বেগম ও স্টোরকিপার মোবারক হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।