নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় রহিমা আক্তার সুমি (১৮) নামে এক তরুণীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রহিমা আক্তার সুমি চাটখিল উপজেলার উত্তর রামনারায়ণপুর এলাকার মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের বাসিন্দা মো. ইউছুফের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গনি মাস্টার পোলসংলগ্ন একটি ভাড়া বাসার শৌচাগার থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তরুণীর বড় ভাই আরাফাত জানায়, গত পাঁচ মাস আগে সুমি প্রেম করে বিয়ে করে কুমিল্লার মুরাদনগরের ইউছুফ নামে এক মোয়াজ্জিনকে। ২ দিন যাবৎ সুমির ফোন বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাইমুড়ীতে সুমির ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখেন দরজায় তালা ঝোলানো। ঘরের ভেতর থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
বাড়ির মালিকের সহায়তায় সোনাইমুড়ী থানায় খবর দিলে পুলিশ বসতঘরের শৌচাগার থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেন। গত ৩ অক্টোবর পরিবারের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় সুমির। ধারণা করা হচ্ছে, সেদিন রাতের যেকোনও সময় সুমিকে হত্যা করে তার স্বামী পালিয়ে যায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলা বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’