তথ্য না দেওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কুড়িগ্রাম সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. সাজ্জাদুর রহমানকে তলব করেছেন আদালত। আগামী ১ নভেম্বর (বুধবার) তাকে সশরীরে হাজির হয়ে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের যুগ্ম দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান এ আদেশ দেন। মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত মোটরযান পরিদর্শক সাজ্জাদুর রহমান নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জব্দ করা একটি কাভার্ডভ্যানের মালিকানা যাচাইয়ের জন্য গত ১৪ সেপ্টেম্বর আদালত বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের কাছে প্রতিবেদন চেয়ে আদেশ প্রদান করেন। গত ১ অক্টোবর আদেশের অনুলিপি কুড়িগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ অক্টোবর বিআরটিএ কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক সাজ্জাদুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন প্রদান করা হয়।
জব্দ করা গাড়ির ইঞ্জিন ও চেচিস নম্বর উল্লেখ করে গাড়িটি ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩, উত্তরা ঢাকার আওতাধীন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে গাড়ির প্রকৃত মালিকের তথ্য উল্লেখ না করে উল্টো আদালতকে বিস্তারিত তথ্য ও প্রকৃত মালিকের নাম ঠিকানা ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩, উত্তরা ঢাকা থেকে সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
আদালত তার আদেশে বলেছেন, চাহিত তথ্য না দিয়ে এভাবে প্রতিবেদন প্রদান সরাসরি ও লিখিতভাবে আদালত অবমাননার অপরাধ। এমতাবস্থায় মোটরযান পরিদর্শক সাজ্জাদুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না ও আদালত অবমাননার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হবে না এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ প্রেরণ করা হবে না কেন- তা আগামী ১ নভেম্বর সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোটরযান পরিদর্শক মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আমি আদালতের আদেশের কপি পেয়েছি। নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সহকারী পরিচালক স্যারের পক্ষে প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেছি। এ ধরনের প্রতিবেদনগুলো এভাবেই দেই। আদালত যে সময় দিয়েছিলেন তাতে ঢাকা থেকে তথ্য পাওয়া সম্ভব ছিল না।
সম্পূর্ণ তথ্য প্রদানে আদালতের কাছে সময় চাওয়া যেত কি না, এমন প্রশ্নে এই মোটরযান পরিদর্শক বলেন, তা যেত।