বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দিনভর সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি। সন্ধ্যার পর থেকে জেলার প্রধান সড়কে কমতে শুরু করেছে যানবাহন চলাচল। মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা জেলেরাও তীরে ফিরতে শুরু করেছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলেদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে সব উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু জেলে তীরে ফিরেছেন। বাকিদের নিরাপদে আনার কর্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. শহীদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কৃষকদের জমিতে আমন ধান রয়েছে। তা এখনও ৮০ শতাংশ কাটা হয়নি। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় হলে কৃষকদের ধানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাঠে থাকা শীতকালীন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। ইতোমধ্যে কৃষকদের গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। নোয়াখালীতে এ বছর চলতি আমন মৌসুমে ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৩ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে; যার ২০ শতাংশ ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় উপজেলা সমূহের ইউএনওদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’