বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ভয়াবহ গোলাগুলি চলছে। ৩ দিন ধরে চলমান গোলাগুলিতে কম্পিত পুরো সীমান্ত এলাকা। গোলাগুলির ভয়াবহতায় প্রাণ বাঁচাতে গত রাতে আবারও নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৭ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য। এ নিয়ে মোট আশ্রিত সদস্য দাঁড়ালো ১১৩ জনে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ভয়াবহ গোলাগুলির কারণে রবিবার সকালে ১৪, দুপুরে ৬ ও বিকালে ৩৮ জন এবং সোমবার সকালে ৩৭, দুপুরে ১১ ও রাতে আরেও ৭ জনসহ মোট ১১৩ জন এখন পর্যন্ত আশ্রয় নেয়। তারা সবাই নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও কক্সবাজারের উখিয়া বিজিবির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে এবং সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর রাখছে।
স্থানীয়রা জানায়, সারা রাত ধরে চলে গোলাগুলি। রাতে যুদ্ধবিমান থেকে মর্টার শেল নিক্ষেপের কথাও জানান স্থানীয়রা। এর আগে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একটি মর্টার শেল বাংলাদেশ সীমানায় প্রবেশ করে ঘরের চালের ওপর পড়লে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ দুজন নিহত হয়। বর্তমানে সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
তিন দিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। পাশাপাশি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আনজুমানপাড়া, ধামনখালী ও রহমতবিল সীমান্তের ওপারে ঢেঁকিবুনিয়া ও উংচি বান এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলি, মর্টার শেল ও বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটছে।