ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মো. হৃদয় নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের রানির পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. হৃদয় যাত্রাপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতার রুবেল একই গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে হৃদয়কে ডেকে রানির পুকুরপাড় এলাকার বাড়িতে নিয়ে যায় রুবেল। এ সময় পাওনা টাকা নিয়ে বাড়ির উঠানে দুজনের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে রুবেল। স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান।
হৃদয়ের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সকালে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল। কিছুক্ষণ পর আমার মেয়ের জামাইয়ের ফোনে জানতে পারি ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে পড়ে আছে। সেখান থেকে দুপুরে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায়। এ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
গ্রেফতার রুবেলের মা লালু বেগম বলেন, ‘বাড়ির উঠানেই হৃদয়ের সঙ্গে রুবেলের হাতাহাতি হয়। পরে হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে রুবেল। আমার ছেলে মাদকাসক্ত, তার অত্যাচারে আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। বারবার পুলিশকে বলেও ছেলের বিষয়ে কোনও প্রতিকার পাইনি। ছেলের কারণে আমার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমি নিজে স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীন আছি। সে যেন জেল থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে, আমি তার কঠিন শাস্তি দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সোনাহর আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আটককৃত রুবেলের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদকের মামলা রয়েছে। সে মাদকসেবী। হৃদয়ের কাছে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। ওই মামলায় রুবেলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’